পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরানশাহ অঞ্চল থেকে রওনা হওয়া দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনীর একটি কনভয় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ গাদ্দার সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবরণ অনুযায়ী, পাকিস্তানের অন্যতম উপজাতীয় অঞ্চল উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরানশাহ অঞ্চল থেকে রওনা হয়ে বানুর দিকে যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর উক্ত কনভয়টি আক্রমণের শিকার হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির সামরিক বাহিনীর এক সেনা সদস্য দাবি করেছে যে, সেনা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ সেনা নিহত হয়েছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণে ৭ সেনা সদস্য আহতও হয়েছে।
এদিকে টিটিপি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, উক্ত গাড়ি বোমা বিস্ফোরণটি একটি অটোরিকশা দ্বারা চালানো হয়েছে। নাপাক বাহিনীর সামরিক কনভয়টি যখন রাস্তা পার হচ্ছিল, তখনই কনভয় টার্গেট করে অটোরিকশাটি আঘাত করে। আর তাতেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং তাতে থাকা নাপাক বাহিনীর অন্তত ৬ সেনা সদস্য নিহত হয়। সেই সাথে আহত হয় আরও ৯ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য।
সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে, হামলাটি টিটিপি সংশ্লিষ্ট ‘হাফিজ গুল-বাহাদুর’ গ্রুপ চালিয়ে থাকতে পারে। যদিও কেউ এখনও এই হামলার অফিসিয়াল দায় স্বীকার করেনি।
তবে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে গাদ্দার পাকিস্তান কর্তৃক চালানো হামলায় টিটিপির অন্যতম শীর্ষ সামরিক ব্যক্তিত্ব ওমর খালিদ খোরাসানি শহীদ হওয়ায় এই হামলাটি চালানো হয়ে থাকতে পারে। কেননা হামলাটি টিটিপির শীর্ষ নেতাদের শহীদ করার পরপরই সংঘটিত হয়েছে।
আঞ্চলিক সূত্র মতে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী কর্তৃক ঐ বর্বরোচিত হামলার পর আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কোনার প্রদেশে ব্যপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনী ও গাদ্দার পাকি-সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়। আর এই লড়াইয়ে আফগান তালিবানের সাথে টিটিপি’র যোদ্ধারাও অংশগ্রহণ করেন। ফলে গাদ্দার পাকি-বাহিনীতে ব্যপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আলহামদুলিল্লাহ! হত্যার বদলে হত্যা