আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা ভিত্তিক সবচাইতে সক্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। প্রতিরোধ বাহিনীটি সম্প্রতি সোমালিয়ার হিরানের প্রাদেশিক রাজধানীতে একে একে ৩টি শহীদি হামলা চালিয়েছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গত সোমবার দুপুরে হিরানের প্রাদেশিক রাজধানী “বালদাউইন” শহরে একে একে ৩টি বীরত্বপূর্ণ শহিদি অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। আশ-শাবাব যোদ্ধারা রাজধানীর সর্ববৃহৎ নিরাপত্তা স্কয়ার লক্ষ্য করে এই অপারেশনগুলি আঞ্জাম দেন। এই নিরাপত্তা স্কয়ারের মধ্যেই ছিলো রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ, হিরান অঞ্চলের গভর্নরের সদর দপ্তর, বালদাউইন পৌরসভার সদর দফতর, সামরিক ঘাঁটি এবং অন্যান্য সরকারি সদর দপ্তরগুলি।
স্থানীয় সূত্র মতে, সোমবার দুপুরের কিছুক্ষণ পর আশ-শাবাবের ইস্তেশহাদী কমান্ডো ফোর্সের ২টি গাড়ি রাজধানীর নিরাপত্তা স্কয়ারে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এরপরই সেখানে বিকট শব্দে ২টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে যার নেতৃত্ব দিয়েছেন আশ-শাবাবের ২জন বীর মুজাহিদ। বিস্ফোরণটি নিরাপত্তা স্কোয়ারের দুই মেরুতে পরিচালনা করা হয়।
বরকতময় এই দুটি শহীদি হামলার ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসন। কারণ এতে হার্শাবেলির আঞ্চলিক প্রশাসনের সরকারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিহত হয়, পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের অনেক অফিসার এবং বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিহত হয়। আহত হয় আরও অসংখ্য সৈন্য।
এই জোড়া বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজের জন্য পৌঁছে দখলদার ইথিওপিয়ান ও জিবুতীয়ান স্পেশাল ফোর্স। যারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর প্রস্তুতির লক্ষ্যে কিছুক্ষণের জন্য “ল্যামফ্লে” নিরাপত্তা কম্পাউন্ডে অবস্থান নেয়। আর তখনই আশ-শাবাবের তৃতীয় ইস্তেশহাদী মুজাহিদ তাঁর বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে কম্পাউন্ডের দিকে ছুটে যান, এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কম্পাউন্ডটি উড়িয়ে দেন। এতে গাদ্দার বাহিনীর সাথে সাথে দখলদার বাহিনীরও আরও কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হয়।
আশ-শাবাবের বীর মুজাহিদদের পরপর ৩টি বীরত্বপূর্ণ শহীদি অপারেশনের ফলে নিরাপত্তা স্কয়ারে অবস্থিত সবগুলো ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য, রাজ্যটির গভর্নর, ডিপুটি গভর্নর, একাধিক অফিসার, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, যোদ্ধাবাজ নেতা ও কমান্ডার সহ উচ্চপদস্থ ২৭ জন কর্মকর্তা নিহত হয়।
আশ-শাবাবের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মুজাহিদদের বরকতময় এই সফল অপারেশনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও আরও ১০০ এরও বেশি কুফ্ফার ও গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়েছে। সেই সাথে আহত হয়েছে আরও অসংখ্য কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য।
দুর্দান্ত এই অভিযানের পর আশ-শাবাবের সামরিক মুখপাত্র শাইখ আবু মুসাব আব্দুল আজিজ (হাফি.) স্থানীয় রেডিওতে একটি দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন। যেখানে তিনি এই অপারেশনটি সফল হওয়ায় এবং মুজাহিদদের সহায়তা করায় মহান আল্লাহ্ তাআ’লা শুকরিয়া আদায় করেন। এরপর তিনি অপারেশন পরিচালনাকারী বীরদের, পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারীদের প্রশংসা করেন।
এসময় তিনি শহীদদের লক্ষ্যে দোয়া করে বলেন, “আল্লাহ আপনাদের শাহাদাতকে কবুল করুন। আপনারা হচ্ছেন, আমাদের মধ্যে ঐসকল সর্বোত্তম ও অগ্রগামী বাহিনী, যারা আল্লাহর বাণীকে সমুন্নত করতে, দখলদারত্বের অবসান ঘটাতে এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠিত করতে নিজেদের সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ জীবনকে আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করেছেন।”
এসময় মুখপাত্র জনসাধারণকে সম্বোধন করে বলেন, “আমরা আপনাদের পরামর্শ দিচ্ছি, আপনারা প্রশাসনিক হেডকোয়ার্টার, সামরিক ঘাঁটি ও সরকারি স্থাপনাগুলি এড়িয়ে চলুন। এসব স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। আমরা চাই, মুজাহিদদের হামলায় যেনো নিরপরাধ কারো রক্ত না ঝরে, আক্রমণে তাঁরা যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হন।”
আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আল হামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহু আকবার! যুগান্তকারী আক্রমণ আলহামদুলিল্লাহ। এরপরও কি তারা আল্লাহর পথে ফিরে আসবে না?