সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাঁসোতে যুগান্তকারী এক অপারেশন পরিচালনা করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন। যাতে দেশটির সামরিক বাহিনীর ৯০টি ট্রাক, যুদ্ধ যান এবং ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বুরকিনা ফাঁসোর জিবোর অঞ্চলে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর জন্য সরবরাহকারী একটি কনভয় লক্ষ্য করে একটি অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিন। হামলার শিকার কনভয়টিতে বিভিন্ন ধরনের ১১৯ টি সাঁজোয়া যান ও গাড়ি ছিলো।
ফলে গাদ্দার বাহিনীর বিশাল এই সরবরাহ কনভয়টি ধ্বংস করতে এই অভিযানে অংশ নেন ‘জেএনআইএম’ এর ১৮০ জন বীর মুজাহিদ। যারা অল্প সময়ে এই অভিযানে একটি ভালো ফলাফল অর্জন করেন, আলহামদুলিল্লাহ্।
কেননা আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ এর বীর যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর জন্য বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম এবং খাবার পরিবহনকারী এই বিশাল কনভয়টি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। সূত্র মতে, মুজাহিদরা কনভয়টির ৯০টি সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক ধ্বংস এবং গাড়ি ও ট্রাক পুড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সাথে কনভয়টির নিরাপত্তায় থাকা ৬৫ সৈন্যকে মুজাহিদগণ হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকিরা তাদের নিহত সঙ্গীদের মৃতদেহ যুদ্ধক্ষেত্রে রেখেই পালিয়ে যায়। তবে পলায়নপর সেনাদের অধিকাংশ সৈন্যও ছিলো আহত।
‘জেএনআইএম’ এক বিবৃতিতে জানায় যে, মহান আল্লাহ তাআ’লা এই অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদদেরকে বড় একটি বিজয় দিয়েছেন। কেননা মুজাহিদদের এই সামরিক ও অর্থনৈতিক আঘাত এতটাই গুরুতর ছিলো যে, এটি বুরকিনান সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের মধ্যে একটি গভীর সামরিক এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট বা ভূমিকম্পের সৃষ্টি করেছে। যার ফলশ্রুতিতে, অভিযানের পরপরই দেশটিতে একটি নতুন সামরিক অভ্যূত্থান ঘটেছে।
বিবৃতির সর্বশেষ অংশে অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় “আপনি যদি যুদ্ধ চান তবে আমরা এর পক্ষে আছি; এমনকি তার চেয়েও বেশি কিছু। আর আপনি যদি শান্তি চান তবে এরজন্য আপনি সঠিক উপায়ে দরজা খুলুন।”
“আর জেনে রাখুন! দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উঠে আসার একমাত্র সমাধান হচ্ছে, আল্লাহর দিকে ফিরে আসা এবং হেদায়েতের পথ অনুসরণ করা। আর যারাই এই পথ অনুসরণ করবে তাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।”
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষা মিশনে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনাকালে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
যুগান্তর।।।।।