ফিলিস্তিনের গাজায় একদিকে বাড়ছে গৃহহীনদের সংখ্যা, অন্যদিকে কমছে বসতি স্থাপনের জমি। ফলে গোরস্থানে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক ফিলিস্তিনি মুসলিম, সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। জমির অভাবে নতুন করে কোনো কবরস্থানও তৈরি করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। পুরনো কবর ভেঙে সেখানেই দাফন সম্পন্ন করা হচ্ছে। এক পাশে সারি সারি কবর আরেক পাশে কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে চলছে জীবনযাপন। গাজার রাদওয়ান গোরস্থানে দেখা যায় এ দৃশ্য।
কবরস্থানে আশ্রয় নেয়া এক নারী বললেন, লাশগুলো যদি কথা বলতে পারতো, তাহলে হয়তো আমাদের রাগ করে এখান থেকে সরে যেতে বলতো। ভেবে দেখুন তো, সারি সারি কবরের পাশে আমরা থাকছি, খাচ্ছি, গোসল করছি। কী কঠিন জীবন আমরা পার করছি, সেটা আল্লাহই জানেন।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিনিয়তই ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে দখল করা হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ফলে গাজা শহরে ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন করে বসতি গড়ার মতো কোনো জমি পাওয়া যাচ্ছেনা। বর্তমানে উপত্যকায় বসবাস করেন ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। ফলে বাড়ছে গৃহহীনের সংখ্যা। অন্যদিকে সংকট দেখা দিয়েছে কবরস্থানগুলোতেও।
গাজার কবরস্থান বিষয়ক সমন্বয়ক মাজেন আল নাজ্জার বলেন, অনেকগুলো কবরস্থানে আর কোনো জায়গা নেই নতুন করে কবর দেয়ার। পুরনো কবর ভেঙে সেখানেই নতুন কবর তৈরি করা হচ্ছে। আবার অনেক কবরস্থানে আশ্রয় নিচ্ছে গৃহহীন মানুষ। সব মিলিয়ে খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন গাজাবাসী।
উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিরা নিয়মিত ফিলিস্তিনি ভূমি দখল ও মুসলিমদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়ার পরও মুসলিম বিশ্ব নিরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে আরও বেশি আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ফলাফল, গাজার মুসলিমরা এখন কবরস্থানে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে পশ্চিম তীরের অবস্থা এখন আরও খারাপ। প্রতিদিনই সেখানে গুম, খুন, গ্রেফতার ও বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব মুসলিম যদি এখনই ইসরাইলের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে না তুলে, তাহলে ফিলিস্তিনি মুসলিমদেরকে আরও খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হয়তো।
তথ্যসূত্র:
——–
১। কমছে বসতি জমি, অনেক ফিলিস্তিনি থাকছেন গোরস্থানে
– https://tinyurl.com/yvde4p3x
আস্তাগফিরুল্লাহ…আমরা আমাদের রবের নিকট কী জবাব দিব ?
😭😭😭