বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ‘প্রেমিকার’ ১৫ দিন পর আত্মহত্যা করেছে আবিদ হাসান নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। গতকাল মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সে বিষপান করে আত্মহত্যা করে।
জানা যায়, সে স্থানীয় জোড়গাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। স্কুলে সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলেমেয়ে একত্রে পড়াশোনা করার সুযোগে একই স্কুলের ছাত্রী মোহনা আক্তারের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক টানাপোড়নে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রেমিকা মোহনা আক্তার (১৪) একইভাবে আত্মহত্যা করে। আর গতকাল এলো প্রেমিক আবিদের আত্মহত্যার খবর।
এরকম ঘটনা শুধু এটিই নয়। স্কুল কলেজে মহামারি আকার ধারণ করেছে অবৈধ প্রেম ও প্রেমঘটিত আত্মহত্যা। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৯ মাসে আত্মহত্যা করেছে ৪০৪ জন শিক্ষার্থী। যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে শিক্ষার্থীদের চরিত্রের চরম অধপতনের বার্তাই বহন করছে। আর এসবের পিছনে রয়েছে সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা। যারা উম্মাহর ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করছে।
এ ঘটনাগুলো যদি মাদ্রাসায় ঘটোতো, তাহলে এতোক্ষণে দালাল বুদ্ধিজীবী ও হলুদ মিডিয়া এ ঘটনাকে ফলাও করে প্রচার করতো। আর বলা হতো , ‘এই আধুনিক যুগে এসেও মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী চৌদ্দশ বছরের পিছিয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা আঁকড়ে ধরে আছে। মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশের কোমল মতি শিশুদেরট মেধাকে পশ্চাদপদ ও ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানহীন বর্বর বিধায় মাদ্রাসায় আত্মহত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। সুতরাং সরকারের উচিত অবিলম্বে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া।’
কিন্তু এখন যেহেতু স্কুল-কলেজে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, এবং সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থায় এর জন্য দায়ী, পশ্চিমা ও হিন্দুত্ববাদের দালাল বুদ্ধিজীবীরা এখন আর কোন কথা বলবে না। দালাল মিডিও আর প্রচার করবেনা এসব ঘটনা।
ইসলামি চিন্তাবিদগন তাই অনেক বছর ধরেই হিন্দুত্ববাদী ও পশ্চিমা সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে হটিয়ে শরিয়াহ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়া আনার সংগ্রামে আপামর মুসলিম জনসাধারণকে সচেতন ও শরীক করার আহব্বান জানিয়ে আসছেন।
তথ্যসূত্র:
——-
১। ‘প্রেমিকার’ ১৫ দিন পর প্রাণ দিলো ‘প্রেমিক’
– https://tinyurl.com/mtfeappu
ধিক্কার এমন শিক্ষা ব্যবস্তার। আল্লাহ আমাদের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দান করুন আমিন।