ভারতের বেরেলির বাসিন্দা জনাব চাঁদ মোহাম্মদকে হিন্দুত্ববাদী ইউপি পুলিশ সন্ত্রাসী হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে জেলে পাঠিয়েছিল। দীর্ঘ ৫ বছর পর আদালতে জনাব চাঁদ মোহাম্মদ নির্দোষ প্রমাণিত হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০০৯ সালে বেরেলি পুলিশ কয়েকজন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করতে গেলে। পুলিশকে দেখে তারা তড়িঘড়ি করে নদীতে ঝাঁপ দেয়। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। পুলিশের বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষী ছিলেন জনাব চাঁদ মোহাম্মদ। পুলিশ নিজেদের স্বার্থে জনাব চাঁদ মোহাম্মদ থেকে জোরপূর্বক জবানবন্দি নিয়ে তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিগত ৫ বছর আগে জেল হেফাজতে নেয়।
পরে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনাব চাঁদ মোহাম্মদ একজন সন্ত্রাসী। যারা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে নাবালকদের সন্ত্রাসী হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে। তার কাছ থেকে কার্তুজ ও পিস্তল সহ অনেক নথি এবং মানচিত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় তারা।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালতে প্রমাণিত হয় যে, পুলিশের সব প্রমাণ জাল ও বানোয়াট। এবং জনাব চাঁদ মোহাম্মদ নিরক্ষর, নির্দোষ। তার উপর যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সবই মিথ্যা। তাই বাধ্য হয়ে আদালত জনাব চাঁদ মোহাম্মদকে বেকসুর খালাস দিলেও তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!
সন্ত্রাসী বলে ট্যাগ লাগিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর জেলে থাকার কারণে লজ্জা ও অপমানে মুসলিম পরিবারটি ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
জনাব চাঁদ মোহাম্মদের জীবনের মূল্যবান সময় কে ফিরিয়ে দিবে?
নির্দোষ চাঁদ মোহাম্মদকে ফাঁসানো দোষী পুলিশরা কি কখনো শাস্তি পাবে?
এভাবে আর কত মুসলমানকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে?
নিরপরাধ চাঁদ মোহাম্মদের ৫ বছর জেলে কাটানোর ফলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে যে ক্ষতি হয়েছে তা কে পুষিয়ে দিবে?
দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর বেরেলির জনাব চাঁদ মোহাম্মদের বানোয়াট অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু এমন আরও অগণিত চাঁদ মোহাম্মদেরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জেলের অন্ধকূপে আটকে আছে। তারা কি আইনের জটিলতা ভেদ করে অমাবস্যার কালো রাত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে?
এমনিভাবে, জনাব আরশি কুরেশি, যাকে ২০১৬ সাল থেকে কঠোর ইউপিএ (UAPA) আইনের অধীনে আটক করে কারাগারে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তার বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন অভিযোগ এনেছিল যে, তিনি নেকি কথিত ‘সন্ত্রাসবাদ’এর সাথে যুক্ত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার একটি বিশেষ এনআইএ আদালত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন হওয়ায় দীর্ঘ ৬ বছর পর নিঃশর্ত খালাস দিতে বাধ্য হয়।
বহু বছর জেলে থেকে পচন ধরে, সব কিছু নষ্ট করার পর সন্ত্রাসের মামলায় মুসলমানদের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, শুধু মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্যই হিন্দুত্ববাদীরা সন্ত্রাসের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। আর ভারতে মুসল্মান্দের জন্য কোন আইন নেই, কোন নিরাপত্তা নেই; নিরাপত্তা ও সুশাসনের ব্যাবস্থা তাই মুসলমানদেরকেই করতে হবে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. (1)चांद मुहम्मद ,का 5 साल कौन वापिस करेगा ?
(2) चांद मुहम्मद ,पर लगे आतंकवाद के आरोप को समाज से कौन खत्म करेगा ?
– https://tinyurl.com/2p8b7h96
2. बरेली के चाँद मोहम्मद को UP पुलिस ने आतंकवादी कहकर जेल में डाला। 5 साल बाद कोर्ट में चाँद मोहम्मद निर्दोष साबित हुए। बरेली पुलिस 2009 में कुछ जुआरियों की गिरफ्तारी करने गयी। पुलिस को देखते ही हड़बड़ी में वो लोग नदी में कूद गए।
– https://tinyurl.com/3mzs2b9m
3. Muslim Man accused of terrorism acquitted after six years in jail
– https://tinyurl.com/msrrfeup