গত ১৯ সেপ্টেম্বর তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি (টিআইপি) তাদের অফিসিয়াল মিডিয়া চ্যানেলে সাত মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ‘লেটস স্ট্যান্ড অ্যাজ ওয়ান’ (চল সবাই ঐক্যবদ্ধ্য হয়ে দাঁড়াই) শিরোনামের ঐ ভিডিওতে দখলকৃত পূর্ব তুর্কিস্তানের উইঘুর মুসলিমদের দুর্দশা এবং তাদের উপর দখলদার চীনের নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত এই ভিডিওতে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে উইঘুরদের সমর্থনে দখলদার চীনের বিরুদ্ধে একত্রিত হবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে, ভিডিওর শুরুতে বলা হয়, “দশ লক্ষ উইঘুর ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা বর্তমানে (দখলদার চীনের) বিশাল বন্দীশিবিরে বন্দী রয়েছেন।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে যে, চীনের কঠোর লকডাউন নীতির কারণে এক উইঘুর মা তাঁর অসুস্থ বাচ্চার চিকিৎসা করাতে না পেরে অসহায়ভাবে আর্তনাদ করছেন। এছাড়াও চীনের জিরো কোভিড নীতির কারণে অনাহারে ও বিনা চিকিৎসায় মৃত উইঘুরদের ছবিও সেখানে দেখানো হয়েছে।
এরপর উইঘুরদের বন্দীশিবিরে নিয়ে আসার একটি ফাঁস হওয়া ভিডিও দেখানো হয়েছে। এছাড়াও চোখ বাঁধা ও শিকলবদ্ধ অবস্থায় বন্দী উইঘুরদের বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়েছে। টিআইপি অভিযোগ করেছে যে, দখলদার চীন প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে বন্দীশিবিরে আটকে রেখেছে।
এছাড়াও দখলদার বাহিনী কর্তৃক উইঘুরদের মারধর ও জোরপূর্বক আটক করার বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব তুর্কীস্তানের বিভিন্ন মসজিদ ধ্বংস করার এবং উইঘুরদের প্রতি তাদের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বিশ্বজুড়ে সংহতি প্রদর্শনের কিছু ফুটেজও দেখানো হয়েছে। ভিডিওটির মূল বার্তাতে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুসলিমদের উচিৎ পূর্ব তুর্কীস্তানের মুসলিমদের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ্য হয়ে দাঁড়ানো।
টিআইপি তাঁদের এই ভিডিও এবং আরও কিছু সাম্প্রতিক প্রচারের মাধ্যমে উইঘুরসহ সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে যে, পূর্ব তুর্কীস্তানের নিপীড়িত মুসলিমদের কথা তারা ভুলে যায় নি। তাছাড়া এই নিপীড়িত উইঘুর মুসলিমদের জন্য তাঁরা যে একটি অগ্রগামী দল হিসেবে লড়াই করে যাচ্ছে, এই ভিডিও তারই প্রমাণ বহন করছে।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. Turkistan Islamic Party Releases Rare English Propaganda Video About Chinese Crackdown on Uyghur Muslims
– https://tinyurl.com/5t4984du
ভাই আমি এখন আর এধরনের নিউজ দেখিনা, তারপরও আজ দেখলাম, দেখে বুকটা ফেটে যাচ্ছে, এদের জন্য কি আমরা কোনদিনও কিছু করতে পারবোনা?
আমাদের কি কোন কিছুই করার নেই?
কি করবো আমরা তাদের জন্য?