সোমালিয়ায় ইসলামী প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন এর পাশে যুদ্ধে নেমেছে দেশটির বেশ কয়েকটি সশস্ত্র উপজাতি। গত ২২ অক্টোবর আলিগুদুদ এবং তৌফিক জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত শহর দুটি দখলের চেষ্টা করে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার সামরিক বাহিনী। কিন্তু আশ-শাবাব ও উপজাতিদের পালটা আক্রমণের মুখে শত্রুরা পালাতে বাধ্য হয়। সেসময় ৩০ এরও বেশি শত্রু সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেদিন প্রথম যুদ্ধটি সংঘটিত হয় হিরান রাজ্যের আলিগুদুদ জেলায়। যেখানে ফেডারেল সরকারী বাহিনী এবং স্থানীয় উপজাতি যোদ্ধাদের মধ্যে কয়েক ঘন্টা ধরে তীব্র যুদ্ধ চলে। উক্ত লড়াইয়ে অন্তত ১৭ এর বেশি সরকারি সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক ডজন। যুদ্ধ শেষে আলিগুদুদ মসজিদ এলাকায় স্থানীয়রা অনেক লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, আলিগুদুদ দখলের জন্য সরকারি গাদ্দার বাহিনী ৭ বার হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ৭ বারই ওয়ারসাঞ্জেলি আবগাল উপজাতির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয়। যদিও ২২ অক্টোবর আশ-শাবাব যোদ্ধারা ব্যাকআপ হিসাবে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছেছিলেন।
২২ অক্টোবর পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার সরকারি বাহিনী দক্ষিণ সোমালিয়ার শাবেলি রাজ্যে আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত তৌফিক জেলায়ও হামলা চালিয়েছে। কিন্তু সেখানেও স্থানীয় উপজাতি ও আশ-শাবাবের যৌথ পাল্টা আক্রমণের শিকার হয় গাদ্দার বাহিনী।
মার্কিন বিমান বাহিনী এই যুদ্ধে সোমালি সেনাদের সহায়তা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা সোচনীয় পরাজয় বরণ করে এবং শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সংবাদ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, তৌফিক জেলায় মোগাদিশু প্রশাসনের কয়েকটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হওয়া ছাড়াও কমপক্ষে ১৩ জন্য সৈন্য নিহত এবং ২০ এর অধিক সৈন্য আহত হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, উপকূলীয় শহর আদেলি-তে গাদ্দার বাহিনী অসংখ্য সেনার মৃতদেহ রেখে পালিয়ে গেছে। তাদের ধারণা, দুটি লড়াইয়ে পশ্চিমা সমর্থিত সরকারি বাহিনীর শতাধিক সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, উক্ত শহর দুটির পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। সেই সাথে শহরগুলোর সমস্ত এলাকা আশ-শাবাব সরকারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।