ইংরেজি বছরের প্রথম দিনেই লালমনিহাটের বুড়িমারী সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সূচনা করেছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিএসএফ। গত ১ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাংলাদেশি মুসলিমের নাম মুহাম্মদ বিপুল হোসেন (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত বিপুলসহ ৮-১০ জন বাংলাদেশিদের একটি দল ভারতের সীমান্তে ঢুকেছিলেন গরু আনার জন্য। এসময় টহলরত ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। বিপুল বুকে গুলিবিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে তার সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ বিপুলক বাংলাদেশে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু হয়।
প্রথমত, মানবরচিত আইনে পাশের দেশের পাশের এলাকায় গরু বা অন্য পণ্য আনতে যাওয়াটা অপরাধ হলেও, মানবিকতা, বিবেক ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে এটা কি কোন অপরাধ?
আর দ্বিতীয়ত, এটা যদি অপরাধ হয়েও থাকে, তাহলেও কি সন্ত্রাসী বিএসএফ এভাবে পাখির মতো গুলি করে মুসলিমদের রক্ত ঝরাতেই থাকবে?
আমরাতো এখন পর্যন্ত কোন হিন্দুকে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মরতে শুনিনি!
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ভারত বার বার বাংলাদেশের কাছে প্রতিশ্রুতি দিলেও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করেনি। অন্যদিকে বাংলাদেশের দালাল সরকারগুলোর পক্ষ থেকেও তেমন কোনো প্রতিবাদ জানানো হয় না। তারা কেউ সরাসরি আবার কেউ মুখে বিরধিতা করে পেছনে ভারতকে ‘হজুর হুজুর’ করে। আর এর ফলে ভারত তাদের পূর্বসূরি মারাঠা বর্গিদের হিন্দুত্ববাদী আদর্শের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে বাংলাদশ সীমান্তে।
গত বছর (২০২২) সীমান্তে বিএসএফের হাতে মোট ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই গুলিতে নিহত হন। বাকিদের নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। এই সময়ে অপহরণ করা হয়েছে আটজনকে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
দেশে যখনই ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু খুঁজে পায়, তখনই কথিত মানবতাবাদী প্রগতিশীলরা হৈ চৈ শুরু করে দেয়। অথচ হিন্দুত্ববাদী ভারত এভাবে বছরের পর বছর বাংলাদেশিদের হত্যা করছে- এ ব্যাপারে তাদের কোন কথাই নেই। আর হলুদ মিডিয়াও সীমান্ত হত্যাকে প্রচার না করে কথিত বন্ধু রাষ্ট্রের সম্মান রক্ষা করে চলেছে।
তথ্যসূত্র:
——–
১। থামেনি সীমান্ত হত্যা-
– https://m.dailyinqilab.com/article/545575/%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE