আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাবের দুর্ধর্ষ সামরিক কমান্ডার মায়ালিম আইমান (হফি.), যনি ২০২০ সালে কেনিয়ার লামুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে পরিচালিত হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এই কারণে তাকে ধরতে সম্প্রতি মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই লক্ষ্যে সন্ত্রাসী দেশটি শাবাব কমান্ডারের মাথার জন্য $ ১০ মিলিয়ন পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
বর্তমানে আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাবকে বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীটির সবচাইতে শক্তিশালী ও সক্রিয় শাখা হিসাবে মনে করা হয়। আশ-শাবাব ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি কেনিয়ার লামু অঞ্চলের মান্ডা উপসাগরে দৃঢ় নিরাপত্তাবেষ্টিত একটি মার্কিন নৌ-ঘাঁটিতে ঐতিহাসিক আক্রমণ করেছিলেন, যা টানা দীর্ঘ ১০ ঘন্টা যাবত চলতে থাকে। মুজাহিদদের দুঃসাহসি এই হামলার মার্কিন সন্ত্রাসীরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। যাতে নৌ-ঘাঁটির সামরিক প্রধান সহ ১৭ মার্কিন ক্রুসেডার হতাহত হওয়ার পাশাপাশি ৯ কেনিয়ান ক্রুসেডার সেনা নিহত হয়েছিল। সেই সাথে মুজাহিদগণ মার্কিনীদের ৭টি বিমান এবং কমপক্ষে ৫টি সামরিকযান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিলেন। পাশাপাশি দুশমনদের অধিকাংশ ঘাঁটি আগুনে পুড়েছিল- আলহামদুলিল্লাহ।
উল্লিখিত আক্রমণটি সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকায় ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় আক্রমণগুলির একটি হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ত্রাসী মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দেওয়া এক বিবৃতিতে, শাবাবের বিশেষ সামরিক ইউনিট “আল-কুদুস” এর সামরিক কমান্ডার মায়ালিম আইমেনের মাথার জন্য ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, তিনি উক্ত হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়েছে যে, এই হামলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য শাবাব যোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলেও ১০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।
ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের নভেম্বরে কমান্ডার আইমেনকে “বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসীদের” তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। এদিকে হামলার এক মাস পর ইউএস আফ্রিকা কমান্ড (আফ্রিকম) দাবি করেছিল যে, হামলার পিছনে থাকা আশ-শাবাব নেতাকে তারা হত্যা করেছে। কিন্তু এখন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এমন বিবৃতি আফ্রিকমের মিথ্যা দাবিতে চপেটাঘাত করেছে।