হরিদ্বারে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন লাউড স্পিকারে আযান দেওয়াকে ‘শব্দ দূষণ’ আখ্যা দিয়ে সাতটি মসজিদকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এসডিএম পুরন সিং রানা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
নৈনিতাল হাইকোর্ট এবং সরকারি নির্দেশে মসজিদে লাউডস্পিকার বসানোর জন্য বিভিন্ন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তাদের দাবি সাতটি মসজিদে লাউডস্পিকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোরে বেজেছে। তাই ঐ মসজিদগুলোর পরিচালক কমিটিকে জরিমানা করা হয়েছে।
পাঁচবার নামাজ এবং সঙ্গে আজানের বিরোধিতা করে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠিও লিখেছিল উত্তর প্রদেশ সরকারের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্লা। সে বলেছিল তার নাকি আযানের তিন মিনিটের সুমধুর ধ্বনির কারণে দৈনিক কাজে মন দিতে, যোগা করতে এবং পূজা-অর্চনায় সমস্যা হয়।
শুধু শুক্লাই নয়, ইসলাম ধর্মের এই গুরুত্বপূর্ণ বিধানের বিরুদ্ধে প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেছে, “ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট থেকে খুব জোরে শব্দ হয়। সেই শব্দ ক্রমশ বাড়তে থাকে। মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। আজানের ফলে অনেক রোগীরও সমস্যা হয়। কারণ তাদের রক্তচাপ বেড়ে যায়।”
কিন্তু দিনের পর দিন দূর্গা পূজা, দিওয়ালি গণপতির মতো পূজার সময় অবিরাম উচ্চ মাত্রার স্পিকার বাজানো হলেও কোনো সমস্যা হয় না তাদের।
তথ্যসূত্রঃ
——–
1. Uttarakhand: Five mosques in Haridwar fined for giving “loud” Azaan on loudspeakers
– https://bit.ly/3Hhjdbl
2. “ভোরের আজান রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। আজানের শব্দ বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ।” ফের ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর
– https://tinyurl.com/v2rhx8n4
3. আযানকে শিয়ালের ডাকের সাথে তুলনা ফেসবুকে হিন্দু যুবকের পোস্ট
– https://tinyurl.com/2p8mhchj
4. মসজিদে মাইক ব্যবহার করে আজানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতের খ্যাতনামা গায়ক সনু নিগম।
– https://tinyurl.com/6dv39fbv