বুরকিনা ফাসোতে আল-কায়েদার ধারাবাহিক অভিযানে ১৫ সেনা নিহত

আলী হাসনাত

2
722
অভিযানে বের হওয়া 'জেএনআইএম' মুজাহিদদের একটি কাফেলা

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে ধারাবাহিকভাবে অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট মুজাহিদগণ। এতে প্রতিনিয়তই ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের শিকার হচ্ছে শত্রু-বাহিনী। সম্প্রতি মুজাহিদদের পরিচালিত এমন কিছু অপারেশনে বুরকিনান বাহিনীর অন্তত ১৫ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) এই অপারেশনগুলো পরিচালনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল অভিযানটি পরিচালিত হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে। বুরকিনান সেনাবাহিনী যখন “ঘাসন” অঞ্চল সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে, তখন মুজাহিদগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে উভয় বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই শুরু হয়।

মুজাহিদদের প্রবল প্রতিরোধের সামনে টিকতে না পেরে ২ সেনার মৃতদেহ ফেলে রেখেই বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল, ১টি পিকে মেশিনগান, ২টি মাঝারি অস্ত্র ও ১১টি পিস্তল জব্দ করেন।

গত ৪ মার্চ, একই অঞ্চলে বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি কনভয় টার্গেট করে সফলভাবে এম্বুশ পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর ১১ সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। অপারেশন শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ২টি গাড়ি, ১টি মর্টার, ২টি পিকে মেশিনগান, ৪টি ক্লাশিনকোভ এবং ১৫টি মোটরসাইকেলসহ প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ জব্দ করেন।

একই দিন, কঙ্গোসি এলাকায় সেনবাহিনীর একটি দলকে বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে এম্বুশ করেন মুজাহিদগণ। এতে সেনবাহিনীর একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেশ কিছু সেনা হতাহত হয়। তবে হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি।

এরপর গত ১০ ও ১১ মার্চ, দেশটির মুরলাবা ও বোলেন এলাকায় আরও ২টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ। এরমধ্যে মুরলাবা গ্রামে সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে রেইড পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর ২ সদস্য নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ৪টি ক্লাশিনকোভ, ১টি পিকা, ১টি আরপিজি, ১টি ড্রোন, ১টি পিস্তল এবং ৮টি মোটরসাইকেলসহ প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন। সেই সাথে সেনাবাহিনীর ১টি গাড়িও পুড়িয়ে দেন মুজাহিদগণ।

অপর অভিযানটি পরিচালিত হয় বোলেন এলাকায়। প্রথমে বুরকিনান সামরিক বাহিনীর একটি টহল দল রাস্তায় পেতে রাখা একটি ল্যান্ডমাইনে আক্রান্ত হয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এরপর মুজাহিদগণ বিক্ষিপ্ত সেনাদের টার্গেট করে গুলি বর্ষণ শুরু করেন। এতে অনেক শত্রু সেনা হতাহত হয় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই অভিযানে হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি।

এই অভিযানগুলি থেকে মুজাহিদদের প্রাপ্ত কিছু গনিমত…

2 মন্তব্যসমূহ

  1. আলহামদুলিল্লাহ.. সমস্ত প্রশংসা খালিক ও মালিক আল্লাহ তায়ালার.. যিনি মুজাহিদদের করেছেন বিজয়ী ও শত্রুদের করেছেন পরাজিত.. আমি জানিনা ভাই কিভাবে আপনাদের সাথে যোগ দিবো বা আদৌ আমি যোগ দেওয়ার যোগ্য কিনা, তবে আপনাদের সকলের জন্য দোয়া রাখি.. ভালোবাসার অপরনাম Al Qaeda Indian Sub Continent

Leave a Reply to আবু ইসহাক আল হিন্দি প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইএসকেপি-কে অর্থায়ন করছে পাকিস্তান: প্রাক্তন আইএস নেতা
পরবর্তী নিবন্ধইসলামি রীতিতে নওমুসলিমের লাশ দাফনে প্রশাসনের টালবাহানা