আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। নববর্ষকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও ঘটা করে উৎসব মুখর পরিবেশে দিনটি পালনের ঘোষণা দিয়েছে এ দেশের সেক্যুলার গোষ্ঠী ও সরকার। শুধু তাই নয়, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নববর্ষ পালন ও মঙ্গল শোভাযাত্রার র্যালিতে অংশ নেয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি প্রকাশ্য হিন্দুত্ববাদী মুশরিক আচার-অনুষ্ঠান। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ভালোবাসা, সমর্থন করা ও অংশগ্রহণ করার মতো যেকোনো কাজে মুসলিমদের যুক্ত হওয়া উচিত নয়। এর ব্যাপারে সকল উলামায়ে কেরাম একমত।
তারপরও এমন একটি পৌত্তলিক অনুষ্ঠানকে ৯১ শতাংশ মুসলিম দেশের সার্বজনীন অনুষ্ঠান বলে চালিয়ে দিচ্ছে সেক্যুলার গোষ্ঠী। উপরন্তু দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন করাকে বাধ্যতামূলক করছে তারা। পহেলা বৈশাখ সকাল বেলা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালি করার জন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত কয়েকবছর ধরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছিল। এভাবে ধীরে ধীরে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে এই পৌত্তলিক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বাভাবিক করা হয়। এতদিন এই পৌত্তলিক শোভাযাত্রা সবার জন্য বাধ্যতামূলক না থাকলেও এ বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নববর্ষ উদযাপন ও র্যালিতে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছরই দেখা যায়, পুরো রমজান জুড়েই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ছুটি থাকে। তবে করোনাকালীন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস চলে ১৪ রমজান বা ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। অর্থাৎ এ বছর ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক স্কুলেও ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। কিন্তু ছুটির মধ্যেও নববর্ষের অনুষ্ঠান করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করতে হবে। এ জন্য বন্ধের মধ্যেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে বাধ্যতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রার র্যালিতে অংশ নিতে হবে।
বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্বেও একটি পৌত্তলিক হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতিকে দেশের মুসলিমদের ওপর চাপিয়ে দেয়া ও একে মুসলিম দেশের সংস্কৃতি হিসেবে প্রমাণ করার জন্য সরকারের চাপ প্রয়োগ সার্বিকভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য খুবই আশঙ্কাজনক।
তথ্যসূত্র:
——
১। বন্ধের মধ্যেও পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
–https://tinyurl.com/y33xvfjs