আবারও এক বাংলাদেশিকে খুন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নিহত বাংলাদেশির নাম সুজন আলী।
গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হলে গত ৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই রাতে ভারত থেকে গরু আনতে সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন সুজন সহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। এ সময় বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সুজন গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ জুলাই মৃত্যু হয় তার।
সীমান্তে পাচার রোধে বাংলাদেশিদের হত্যা করার অযুহাত দেখায় ভারত। অথচ সরকারি-বেসরকারি অনেক সূত্রই নিশ্চিত করেছে যে দেশটি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে পাচার হয়। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বাধা প্রদান করার ব্যাপারে সেভাবে তথ্য জানা যায় না। কিন্তু খোদ বিএসএফ সদস্যরাই এসব পাচারে জড়িত থাকার বহু প্রমাণ নানান সময়ে পত্র-পত্রিকায় এসেছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সীমান্তে অপরাধীদের গ্রেফতারের বিধান রয়েছে। ভারত অন্যান্য দেশের সঙ্গে সীমান্তে এ আইন মেনে চললেও বাংলাদেশ সীমান্তে কখনই তা মানে না। বরং সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করাকে নিয়মে পরিণত করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এর তথ্য অনুযায়ী এবছর মাত্র ছয় মাসেই ১১ বাংলাদেশিকে খুন ও ১৪ বাংলাদেশিকে গুরুতর আহত করেছে ভারত।
তথ্যসূত্র:
১। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু
– https://tinyurl.com/537vxd24
২। ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী ১১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে : আসক
– https://tinyurl.com/2s4xw6pt
৩। বিএসএফের সহযোগিতায় বেনাপোল সীমান্ত পথে পাচার হচ্ছে মাদক ও অস্ত্র
– https://tinyurl.com/38367pbn