ভারতের তেলেঙ্গানার গাজওয়েল শহরে স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরা মদিনা মসজিদের বাইরে জড়ো হয়ে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। প্রায় ৩০০ লোক মসজিদটির সামনে জড়ো হয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে। ঘটনাটি গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ঘটে।
ঘটনার আগের দিন স্থানীয় একটি শিবাজি মূর্তিকে মুসলিমরা অবমাননা করেছে- এমন অভিযোগ ছড়িয়ে পরলে হিন্দুরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ৪৮ বছর বয়সী ইউসুফউদ্দিন টিএনএম মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় জানান যে, হিন্দুত্ববাদী জনতা আসার সময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তিনি সহ মসজিদের প্রাঙ্গণে মাত্র চারজন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হিন্দুরা পাথর নিক্ষেপ করেছিল এবং পাথর আমার পায়েও আঘাত করে।”
জনাব ইউসুফউদ্দিন সাহেব আরো বলেন, “আমাদের কাছে ঘটনার একটি ভিডিও রয়েছে। তারা মসজিদে আবর্জনা নিক্ষেপ করে এবং তেলেগু ভাষায় ইসলামোফোবিক স্লোগান দিতে থাকে। তারা বলছিল (মুসলিমরা) যদি হিন্দুস্তানে থাকতে চায় তবে তাদের হিন্দু হতে হবে।”
হিন্দুত্ববাদী জনতা ৪৫ মিনিট ধরে সেখানে অবস্থান করে ইসলাম বিদ্বেষী স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি এবং মসজিদে পাথর ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ আসার পর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং তাদের বিক্ষোভ শিবাজি মূর্তির কাছে স্থানান্তরিত করে। ইউসুফউদ্দিন বলেন, পুলিশ তাদের সাহায্যের আহ্বানে সাড়া না দিলে অবস্থা খুবই ভয়াবহ হত। তিনি আরো বলেন, এরপর কী হবে তা নিয়ে আমরা ভীত।
ইউসুফউদ্দিন বলেছিলেন যে তাদের মসজিদের বাইরে হট্টগোল তৈরির বিষয়টি মূলত আরএসএস, বজরং দল এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যান্য স্থানীয় সমর্থকদের পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। সিদ্দিপেটের পুলিশ কমিশনার এন শ্বেতাও বলেছেন যে, মসজিদের কাছে মুসলিম মালিকানাধীন স্থাপনায় পাথর ছোড়া হয়েছিল।
তথ্যসূত্র:
1. Tension in Gajwel: Hindutva mob circled mosque, alleges Masjid committee
– https://tinyurl.com/2s4yn9vm