২০২১ সালের ১৫ই আগস্ট, রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানের প্রায় সকল প্রদেশ ইসলামি ইমারতের মুজাহিদিন বিজয় করে নেন। এ বিজয় উপলক্ষ্যে ইসলামি ইমারত এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের মুজাহিদ জাতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এই মহান বিজয়ের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসলামি ইমারতের বিবৃতিতে বলা হয়, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের জিহাদ ও অবশেষে বিজয় লাভ আফগানিস্তানের মানুষ এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্যই গৌরবের বিষয়। প্রকৃতপক্ষে এই বিজয় আল্লাহর উপর মুমিনদের বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করেছে।
সমগ্র ইতিহাসজুড়েই আফগানিস্তানের মানুষ নিজ ধর্ম, দেশ ও স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে মুজাহিদ আফগান জাতি একটি শক্তিশালী ইসলামি শাসনব্যবস্থার স্বপ্ন দেখতেন। এখন তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
মুজাহিদ আফগান জাতির পক্ষ থেকে একটি সত্যিকারের দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামি ইমারত সফলভাবে জিহাদ শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন, এবং আফগানিস্তানে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথকে প্রশস্ত করেছেন।
বিবৃতিতে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বলা হয়, বর্তমানে সারা দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেছে, এবং সমগ্র দেশের সকল অঞ্চল এখন একক নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। দেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং শরীয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে আফগান জাতি যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, এই হলো তাদের ত্যাগের সফলতা। কাবুল বিজয় আরও একবার প্রমাণ করেছে যে, গৌরবান্বিত আফগান জাতির উপর কেউ দখলদারিত্ব চালাতে পারবে না।
এ বিজয়ের মাধ্যমে আরও কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। দখলদারদের সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টা আফগান মুজাহিদ জাতির সংকল্পকে পরাজিত করতে পারেনি। তাদের স্বৈরাচারী শাসন আফগান জাতির উপর চাপিয়ে দিতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের চাপ প্রয়োগ কিংবা ষড়যন্ত্র কোনোই কাজে আসেনি।
ইসলামি ইমারতের কর্মকর্তাগণ আমৃত্যু ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক জনগণকে সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং দেশের উন্নয়ন ও দৃঢ়তার জন্য কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। কোনো দখলদারকে তারা আফগানিস্তানের স্বাধীনতার জন্য হুমকি হওয়ার সুযোগ দেবেন না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
তথ্যসূত্র:
1. Statement of the Islamic Emirate on the Second Anniversary of the Conquest of Kabul – https://tinyurl.com/ynysacvr