- উত্তর গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত থাকার মাঝেই দক্ষিণ গাজায়ও হামলা বৃদ্ধি করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। তবে, বিভিন্ন ফ্রন্টে পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদরা।
- কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চলছে। চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতি, জ্বালানির তেলের ব্যবস্থা ও বন্দী বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা।
- পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং জানিয়েছে, আমেরিকা কর্তৃক ইসরায়েলকে বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করা চলমান রয়েছে।
- ব্রিকসভূক্ত দেশের নেতারা- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় অবিলম্বে টেকসই মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
- গাজায় যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে কিনা- এ বিষয়ে ইসরায়েলি শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছে। নেতানিয়াহু বলছে, গাজায় সাময়িক যুদ্ধ বিরতি দেয়া হলেও হামাসকে নির্মূলের আগ পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
- গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি পূর্ব শুজাইয়াত এলাকায় ১৯ জন নিহত ও মধ্য গাজায় একটি শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
- গাজার সাবরা পাড়া, নুসিরাত শরণার্থী শিবির ও জাবালিয়া এলাকায় পৃথক হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন, এসময় আহত হয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি।
- ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সন্ত্রাসো ইসরায়েলি হামলায় উত্তর গাজার সব হাসপাতাল এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
- গাজার আল-শিফা হাসপাতালের মতোই ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে হাসপাতাল থেকে রোগীসহ ৩২০ জন ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছ। এছাড়াও গাজায় জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
- ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, জাবালিয়া এলাকায় আল-আওদা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ৪ চিকিৎসক নিহত হয়েছেন।
- ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে আরও ২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
- অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী, ফলে সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে জর্ডান।
- অধিকৃত পশ্চিম তীরে বালাতা শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
- ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন অন্তত ২৫৫ টি ব্যবসা বন্ধ করে মাত্র ৪৫টি ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
- সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নতুন করে আরও কয়েক শতাধিক বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, ফলে নিহতের সংখ্যা ১৪,১২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫,৮৪০ জন শিশু, ৩,৫০০ জন নারী। এখনও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ৬,০০০ ফিলিস্তিনি।। আহত হয়েছেন অন্তত ৩২,৮৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
- দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ২১৭ জনেরও বেশি, এর মধ্যে ৫০ জন শিশু। আহত হয়েছেন আরও ২,৭০০ জন। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে।