উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার পাটওয়াই এলাকায় পুলিশের গুলিতে ২৩ বছর বয়সী একজন মুসলিম যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন অপর এক মুসলিম। নিহত মুসলিম যুবকের নাম সাজিদ কুরেশি এবং আহত হওয়া তার সহযোগীর নাম বাবলু। বাবলু পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পিটিআই নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পুলিশ নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য দাবি করেছে যে উক্ত দুই মুসলিম একটি গরু জবাই করতে যাচ্ছিল।
পুলিশ দাবি করছে, তারা যখন মুসলিম যুবকদের গাড়িটিকে থামতে বলে, তখন এর চালক গাড়িটিকে অন্যদিক দিয়ে চালিয়ে চলে যায়। তাই তারা গাড়িটিকে তাড়া করে।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, গাড়ির চালক তখন তার দ্রুতগামী গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং রাস্তার পাশে একটি মাঠে উল্টে যায়। গাড়ি উল্টিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বলছে যে, গাড়িতে বসা ঐ দুই যুবক তখন বেরিয়ে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে ঐ তারা দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। তবে নিজেদের এমন দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ পেশ করতে পারে নি পুলিশ।
এরকমভাবে দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় পুলিশ মুসলিম নিধনযজ্ঞ বাস্তবায়নে নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ত করে ফেলেছে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের হাতে মুসলিম খুন হওয়ার সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।