ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৪৬ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ১৪,১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি এখনও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ছয় হাজার ফিলিস্তিনি। নিখোঁজদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। আল-জাজিরা সূত্রে আরও জানা গেছে, গাজায় প্রতি মিনিটে গড়ে অন্তত ৪২টি বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এবং প্রতি মিনিটে অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হচ্ছে অন্তত ৩৫ জন। এবং প্রতি মিনিটে অন্তত ১২টি ভবন ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানিয়েছে, নিহত ১৪,১০০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৫,৬০০ জন শিশু এবং ৩,৫৫০ জন নারী।
অপরদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গাজায় ইতোমধ্যে ২৫টি হাসপাতাল এবং ৫২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০১ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জনেরও বেশি। এছাড়াও ইসরায়েলি হামলায় ৮৭টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন সাংবাদিক।
এছাড়াও, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৮৩টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬৬টি। এ সময় তিনটি গির্জাতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়াও গাজায় অন্তত ৫২,০০০ এর বেশি আবাসন ইউনিট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২,২২,০০০ ভবন। পাশাপাশি অন্তত ৩০০টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও অবরোধে দশ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ থেকে এখনো বঞ্চিত গাজার বাসিন্দারা।