
ইসলামি বিশ্ব উলামা জোটের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাত করেছেন আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মাদ হাসান আখুন্দ হাফিজাহুল্লাহ। গত ৩রা ডিসেম্বর উলামা জোটের প্রতিনিধিদলকে আফগানিস্তানে স্বাগত জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে আফগানিস্তানে চলমান ইসলামি শরীয়াহ ব্যবস্থার প্রশংসা করেন আলেমগণ। তারা বলেন, এই শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছে আফগান আলেম, হাফেজ ও মুজাহিদদের ত্যাগের বিনিময়ে। তারা আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতকে ইসলামি শরীয়াহ ব্যবস্থার একটি উজ্জ্বল প্রতীক বলে মনে করেন এবং আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের প্রতি মুসলিম বিশ্ব তাকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন।
উলামা জোটের পক্ষ থেকে কথা বলেন ইসলামি বিশ্ব উলামা জোটের মহাসচিব ড. আলী আল-ক্বারা দাগি। তিনি আফগানিস্তানের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামাজিক ক্ষেত্রে উলামা জোটের সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। উলামা জোটের প্রতিনিধিরা ইসলামি বিশ্বের ৬৪টি সমাজ এবং চার মাজহাবের প্রতিনিধিত্ব করেন বলে উল্লেখ করেন ড. আলী।
সভায় আলেমগণ মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, একমাত্র আলেমরাই নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের সমস্যাগুলো সমাধানের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে পারেন।
আগত উলামা প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মাদ হাসান আখুন্দ। তিনি আফগানিস্তানে বর্তমান ইসলামি শরীয়াহ ব্যবস্থা গঠনে আলেমদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেন। মুসলিম বিশ্বে আলেমদের প্রচেষ্টা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আফগান এবং ফিলিস্তিন জাতির একই ধরনের সংগ্রামের ইতিহাসকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহর এই সমস্যাগুলো সমাধানে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি।
তাছাড়া, আফগানিস্তানে চলমান উল্লেখযোগ্য সংকট যেমন- ভূমিকম্প, বন্যা ও কতিপয় দেশ থেকে আফগান শরণার্থীদের গণ-উচ্ছেদের বিষয়গুলোও তুলে ধরেন ইমারতে ইসলামিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মাদ হাসান আখুন্দ। এই সমস্যাগুলো সমাধানে ইসলামি ইমারতের কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছে বলে তিনি আশ্বাস দেন এবং সম্ভাব্য সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে সম্মতি দেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষ দিকে ইসলামি দেশগুলোর মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন এবং মুসলিম উম্মাহর চলমান সমস্যাগুলো সমাধানে একে অপরকে দোয়ায় স্মরণ রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।