এক মাসে টিটিপির অভিযানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ২১৯ সদস্য হতাহত

- আলী হাসনাত

0
635

পাকিস্তান ভিত্তিক সর্বাধিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। গত নভেম্বর মাস জুড়ে দেশটিতে দলটির প্রতিরোধ যোদ্ধারা পাকিস্তানজুড়ে অন্তত ৭৮টি অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে পশ্চিমা মদদপুষ্ট পাক সামরিক বাহিনীর ৯৯ সদস্য নিহত এবং আরও ১২০ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) অফিসিয়াল সাইট উমর মিডিয়ায় গত ১ ডিসেম্বর অভিযানের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে, টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধারা দেশের ১২টি জেলায় সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত ১৪টি হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছেন। সেই সাথে তাঁরা দেশের ৭টি প্রদেশের মোট ১৪টি জেলায় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭৮টি পৃথক অভিযানও পরিচালনা করেছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলুচিস্তান প্রদেশের পিশিন ও কোয়েটা জেলায় একটি করে মোট ২টি অভিযান ছাড়া বাকি ৭৬টি অভিযানই চালানো হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের ১২টি জেলায়। এই জেলাগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি সংখ্যক অভিযান চালানো হয়েছে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে; এখানে পরিচালিত অভিযানের সংখ্যা ২৩টি।

অপরদিকে প্রদেশ ভিত্তিক সবচাইতে বেশি সংখ্যক অভিযান চালানো হয়েছে বান্নুতে, যার সংখ্যা ৩৪টি। এরপর ডি.আই.খান প্রদেশে অভিযান চালানো হয়েছে ২৩টি, পেশোয়ারে ১২টি, মালাকান্ডে ৩টি। আর কোহাটা, মরদান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ২টি করে মোট ৬টি অভিযান চালানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসকল অভিযানের সময় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে সামরিক বাহিনীর ৫ সদস্য বন্দী হয়েছে। এছাড়াও ৯৯ সদস্য নিহত এবং আরও ১২০ সদস্য আহত হয়েছে। হতাহতদের এই তালিকায় সেনা সদস্য রয়েছে ৯৫ জন, পুলিশ ও সিটিডি সদস্য রয়েছে ৭১ জন, সীমান্তরক্ষী ৪৪ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য রয়েছে ১০ জন।

প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে, প্রতিরোধ যোদ্ধারা অভিযান শেষে শত্রু বাহিনী থেকে বিপুল সংখ্যক গুলি, বেশ কিছু মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এবং সোলার সিস্টেম এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ছাড়াও ৭টি ক্লাশিনকোভ জব্দ করেছেন। এছাড়াও তাঁরা সামরিক বাহিনীর ৯টি স্পাই ক্যামেরা, ৫টি সামরিক যান, ৪টি পুলিশ ভ্যান ও ৩টি পুলিশ পোস্ট ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩