গাজার আল শিফা হাসপাতালে ২৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দুই মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দেয়, ইসরায়েলিদের হামলার কারণে গাজায় শিশুরা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন হুঁশিয়ারির পরই না খেতে পেয়ে শিশুর মৃত্যুর তথ্য জানা গেলো।
একজন প্যারামেডিক জানিয়েছেন, “আমরা দেখেছি একজন মহিলা তার বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছে, সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। ফ্যাকাশে শিশুটি তার শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন জানতে পারি সে তীব্র পুষ্টিহীনতায় ভুগছিল। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে আইসিইউতে নিয়ে যায়। শিশুটি গত কয়েকদিন কোনো দুধ পায়নি। কারণ গাজায় এখন শিশুদের কোনো দুধই নেই।”
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুরোধ সত্ত্বেও গাজায় এখনো পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংস্থা সতর্ক করেছে যে, ২.২ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তা বন্ধের পর গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলের অবস্থা বেশি শোচনীয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ওই অঞ্চলে শিশুদের অপুষ্টির হার ক্রমে বাড়ছে। প্রবল ইসরায়েলি বোমা হামলার মধ্যে সাহায্য সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট এলাকায় প্রবেশ করতে না পারায় সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Two-month-old Palestinian boy dies of hunger amid Israel’s war on Gaza
– http://tinyurl.com/mrxk7uee