‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৩৫’ বাতিল করলো আসামের হিন্দুত্ববাদী সরকার। মুসলিমদের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং সবার জন্য ইউনিফর্ম সিভিল কোড (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি) কার্যকর করতেই উক্ত আইনটি বাতিল করেছে ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদীরা।
তবে দেশটির বিশেষজ্ঞরা এর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। হিন্দুত্ববাদী সরকারের উক্ত পদক্ষেপের যুক্তি খণ্ডন করে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, ‘বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইন, ২০০৬’ নামে একটি কেন্দ্রীয় আইনে বাল্যবিবাহ ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ।
তারা আরও বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধ করাই যদি একমাত্র লক্ষ্য হয়, তবে আসাম সরকারের পুরো আইনটি বাতিল করার কোন দরকারই ছিল না। গুয়াহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী হামিম কে জে আহমেদ বলেন, ‘সরকার শুধু ১৯৩৫ সালের আইনের ৮(১) ধারাটিই সংশোধন করতে পারতো। ’
উল্লেখ্য যে, ১৯৩৫ সালের আইনের ৮(১) ধারায় নাবালিকাদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া গুয়াহাটির প্রবীণ আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী উল্লেখ করেছেন যে, ‘বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইন, ২০০৬’ একটি কেন্দ্রীয় আইন, যা ইতিমধ্যে সারা দেশে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ সহ ১৯৩৫ সালের আইনের ৮(১) ধারাকেও বাতিল করেছে।
তিনি আরও বলেন, মূলত আসন্ন লোকসভা ভোটে ইস্যু তৈরি করতেই এমনটা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউনিফর্ম সিভিল কোড (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি) হলো সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার এবং দত্তক গ্রহণসহ সকল ব্যক্তিগত আইনগুলো নিয়ন্ত্রণের একটি সাধারণ সেট। বর্তমানে ভারতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় শাস্ত্রমতে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন অতিবাহিত করে। তবে এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড কার্যকর হলে পুরো দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ একই আইনের অধীনে পরিচালিত হবে।
তথ্যসূত্র:
1. Assam’s repeal of Muslim marriage act will not curb child marriage – but could pressure Muslims
– http://tinyurl.com/9xet6bbu