গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ্তে একজন বাস্তুচ্যুত স্বাস্থ্যকর্মী সতর্ক করে বলেছেন- গাজায় খাদ্য, জ্বালানি, পানি এবং ওষুধ প্রবেশের উপর ইসরায়েলের কঠোর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে হাজার হাজার শিশু অনাহারে মারা যেতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে, যার মধ্যে একটি ১৫ বছর বয়সী বালক রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে আল-শিফা হাসপাতালে ১৫ বছর বয়সী এক শিশু এবং উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ৭২ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনের কাছে হার মেনে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ২০ জন। ঘোষিত এই মৃত্যুর সংখ্যা শুধুমাত্র হাসপাতালে যারা পৌঁছেছেন বা হাসপাতালে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যুকেই সামনে আনছে। আরও বহু লোক হয়ত হাসপাতালে না পৌঁছানোর ফলে অনাহারে নীরবেই মারা যাচ্ছেন।
আশরাফ আল-কুদরা বিবৃতিতে আরো বলেছেন, ‘উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য।’ অন্যদিকে হাজার হাজার মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর গাজার হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালানোর’ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে’ রাখার অভিযোগ করেছেন। গাজায় মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াতে পারছে না এবং শিশুরাও অনাহারে মারা যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Health care workers in Gaza warn the most vulnerable population could die of starvation. Here’s the latest
– https://tinyurl.com/2frxeum9