আমু দারিয়া তেল অববাহিকার কাশকারি অঞ্চল অপরিশোধিত তেল সংরক্ষণাগার নির্মাণ কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। অপরিশোধিত তেল সংরক্ষণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতেই এগুলো নির্মিত হচ্ছে। ইমারতে ইসলামিয়ার জ্বালানি ও খনিজ তেল মন্ত্রণালয় গত ১৪ই মার্চ এই তথ্য প্রদান করে।
আমু দারিয়া অববাহিকায় নতুন করে বেশ কয়েকটি তেল খনি খনন করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ফলে দৈনিক তৈল আহরণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বিদ্যমান তেল সংরক্ষণাগারসমূহ পর্যাপ্ত হচ্ছে না। বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে আরও ৩টি খনিজ তেল সংরক্ষণাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উক্ত মন্ত্রণালয়। এগুলোর প্রতিটির তেল ধারণ ক্ষমতা ৭৪০০ ঘনমিটার। ইতোমধ্যে এগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আহরিত খনিজ তেল সংরক্ষণে তেল সংরক্ষণাগারসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
খনি থেকে আহরিত তেল, রিজার্ভারে সংরক্ষণ করার আগে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এতে ৩দিন সময় অতিবাহিত হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই ধাপে খনিজ তেলে মিশে থাকা অপদ্রব্যসমূহ অধঃক্ষেপণ হয়ে পৃথক হয়ে যায়। অতঃপর অপরিশোধিত তেল পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রেরণ করতে প্রস্তুত করা হয়।
সংরক্ষণাগারসমূহ নির্মাণের পূর্বে তৈল ট্যাংক ট্রাকে তেল পরিবহনে বেশ সমস্যা পোহাতে হত। তেল পরিবহনের রাস্তা অনেক জায়গায় বেশ খাঁড়া। ফলে পরিবহনের সময় খাঁড়া রাস্তাগুলোতে চালকগণ তেল ভর্তি ট্রাক চালাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত না। এছাড়া ট্রাকগুলো লোডিং এর ক্ষেত্রেও বেশ সমস্যা হত। পরিবহন সংশ্লিষ্ট পরিষেবা অপর্যাপ্ত হওয়ায় নানাবিধ অসুবিধা বিদ্যমান ছিল। নতুন তৈল সংরক্ষণাগার নির্মাণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ট্রাকসমূহ লোডিং ও তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে সুবিধাদি প্রতিষ্ঠা করা হবে। ফলে সমস্যাগুলো অনেকাংশে লাঘব হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্।
উল্লেখ্য যে, একাধিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে নির্মাণ কাজটি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। উক্ত নির্মাণ কাজ শীঘ্রই সমাপ্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নতুন সংরক্ষণাগারসমূহ কার্যকর হলে কাশকারী অঞ্চলে অপরিশোধিত তেলের সংরক্ষণ প্রক্রিয়া দক্ষতার সাথে পরিচালিত হবে। পাশাপাশি তেল পরিবহন প্রক্রিয়ার জটিলতা গুলোও দূর হবে ইনশাআল্লাহ্।
তথ্যসূত্র:
1. Construction of Crude Oil Reservoirs Start in Qashqari
– https://tinyurl.com/bddr7bnx