গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে,গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থলপথে ব্যাপক ত্রাণ সরবরাহে ইসরায়েলের বাধার কারণে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশ বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলছে। এ সব বস্তার আঘাতে গাজা উপত্যকায় ২৫ মার্চ, সোমবার ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় এই বস্তা সংগ্রহ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলা হয় গাজার উত্তরাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরীয় তীরের কাছে। এ সময় ত্রাণের বস্তা মাথায় পড়ে নিহত হন ১২ জন, আর সেই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান আরও ৬ জন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা বন্ধ করুন। তার পরিবর্তে সড়ক পথে ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেসব দূর করতে পদক্ষেপ নিন।
এর আগেও ৮ মার্চ গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরে বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের আঘাতে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ১১ জন আহতও হয়েছিলেন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় আকাশ থেকে ফেলার ত্রাণ এই প্রচেষ্টাকে অকার্যকর ও মানবিক সেবার পরিবর্তে চটকদার বিজ্ঞাপন বলে নিন্দা করেছে।
উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু ত্রাণ সাগরে এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বা যুদ্ধক্ষেত্রে পড়েছে যা মানুষের জীবনকে সত্যিকারের বিপদে ফেলেছে।
প্রায় ২২ লাখ মানুষ অধ্যুষিত গাজা উপত্যকার এক তৃতীয়াংশ মানুষ জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও গোষ্ঠীগুলোর ত্রাণের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। উপত্যকায় অভিযান শুরুর সময় থেকে সেখানে ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী, ফলে খাদ্যের অভাবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়।
তথ্যসূত্র:
1. 18 Palestinians killed in Gaza by aid airdrop malfunction
– https://tinyurl.com/bddr8sdh
2. At least 12 Palestinians drown trying to retrieve aid parcels dropped into the sea
– https://tinyurl.com/3bvc7364