অবরুদ্ধ গাজায় গত ৩১ মে ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আন্তর্জাতিক সব ধরনের চাপ উপেক্ষা করে রাফায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা রাফা ছাড়তে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে রাফা থেকে অন্যত্র সরে গেছেন ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধের কথা জানিয়েছে জতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ হামলায় আরও ৮২ হাজার ৪০৭ জন মানুষ আহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ৩১ মে দিনব্যপি ইসরায়েলের হামলায় ১০০ জন নিহত ও আরো ৩৫০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও, ইসরায়েল অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
আল জাজিরার সানাদ ভেরিফিকেশন এজেন্সি অনুসারে, ইসরায়েল গাজার প্রায় ৩২ শতাংশ এলাকা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দখলে নিয়েছে।
নির্বিচারে বিমান হামলা, কামান হামলা এবং বুলডোজারের মাধ্যমে গাজার এলাকাগুলির সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসঙ্ঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই। সেখানে নিরাপদে জীবন চালিয়ে নেওয়া এখন অসম্ভব। কেউ বাড়ি ফিরতে পারলেও সেই বাড়িকে আর দেখতে পাবে না।
তথ্যসূত্র:
1. Israel’s war on Gaza updates: ‘Over 1 million’ flee Rafah as Israel attacks
– https://tinyurl.com/mrxbk27u