গাজা উত্যাকার বেশিরভাগ অংশ ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস, রাফাহ ও মধ্য গাজার কিছু অংশে রাতভর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। জনগণ প্রতিদিন তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং বিশ্ব তা তাকিয়ে দেখছে। মানবিক সহায়তাকারী গ্রুপগুলোর কাছে ২০ লাখের বেশি লোককে সহযোগিতা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ায়, তারা মিশন ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজাকে বসবাসেরই অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। উপকূলীয় এই ভূখণ্ডটি একসময় ‘প্রাণবন্ত শহর’ ছিল বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। ১৪ জুন, শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল-জাজিরা বলছে, ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ‘সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ এবং জনশূন্যতার মাধ্যমে গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে।’ ১৪ জুন, শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ফুটেজও পোস্ট করেছেন তিনি।
এদিকে, ১৩ জুন, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ভূখণ্ডটিতে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ হাজার ২৩২ জনে। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮৫ হাজার ৩৭ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
তথ্যসূত্র:
1. Gaza made ‘uninhabitable’, says UNRWA chief
– https://tinyurl.com/3b64h8d9