পাকিস্তানে ইসলামি শরিয়াহ্ শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশটিতে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। দলটি নিশ্চিত করেছে যে, গত জুন মাসে পাকিস্তান জুড়ে দলটির মুজাহিদগণ মার্কিন মদদপুষ্ট সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯৬টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ৮১ সদস্য নিহত এবং ১১৬ সদস্য আহত হয়েছে।
সশস্ত্র দলটি কর্তৃক ইনফোগ্রাফি আকারে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মুজাহিদগণ বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানগুলো পাকিস্তানের ৮টি রাজ্যের মোট ১৯টি জেলায় পরিচালনা করছেন। এসকল অভিযানে হতাহত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সেনা সদস্য রয়েছে ১১৭ জন, পুলিশ সদস্য ২৯ জন, এফসি সদস্য ৪১ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত ১০ সদস্য রয়েছে। সেই সাথে টিটিপির মুজাহিদদের হাতে সামরিক বাহিনীর ২ সদস্য বন্দী হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, টিটিপির মুজাহিদগণ খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের ১৬টি জেলাতেই মোট ৯২টি অভিযান পরিচালনা করছেন। এর বাহিরে কোয়েটায় ২টি, করাচিতে ১টি এবং মর্দানে ১টি অভিযান পরিচালনা করছেন। আর একক কোনো জেলা হিসাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা চালানো হয়েছে ডেরা ইসমাইল খানে, যার সংখ্যা ১৮টি। এরপরের স্থানে রায়েছে উত্তর ওয়াজিরিস্তান, যেখানে ১৬টি অভিযান চালানো হয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, এখানে ১৩টি অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসকল অভিযানে মুজাহিদগণ ২৮ বার স্নাইপার রাইফেল ও লেজার গান দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন। গেরিলা আক্রমণ চালিয়েছেন ১৬টি, পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছেন ১৫টি, আক্রমণাত্মক অপারেশন পরিচালনা করছেন ১২টি, অ্যাম্বুশ করেছেন ১১টি, এছাড়াও গ্রেনেড ও মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন ৯টি এবং টার্গেট কিলিং অপারেশন পরিচালনা করেছেন ৫টি।
প্রতিবেদনে আরও যুক্ত করা হয়েছে যে, গত মাসে মুজাহিদগণ এসকল অভিযান শেষে পাকিস্তানী সৈন্যদের কাছ থেকে ৩টি অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩টি ক্লাশিনকোভ, ১টি নাইট ভিশন স্কোপ, শত শত বুলেট, বেশ কিছু মোবাইল ফোন এবং নগদ অর্থ সহ অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ১১টি নজরদারি ক্যামেরা, ৯টি সামরিক গাড়ি, ২টি সামরিক পোস্ট এবং একটি মিশনারী ক্যাম্প ধ্বংস করেছেন।