বৃটিশ জার্নাল ল্যানচেটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কমপক্ষে এক লাখ ৮৬ হাজার হতে পারে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ভয়াবহ এসব হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কিন্তু গবেষণা বলছে, প্রকৃতপক্ষে নিহতের এই সংখ্যা অনেক বেশি। কারণ, যে হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে মারা গিয়েছেন, যাদের খবর এখনও কেউ জানে না- সেই সংখ্যা সরকারি এই সংখ্যার মধ্যে ধরা হয়নি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, সহিংসতা থেকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও সংঘাতের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এমনকি যদি গাজা যুদ্ধ এই মুহূর্তে শেষ হয়, তাহলেও আগামী অনেকগুলো মাস ও বছর রোগ-ব্যোধীর মতো নানা কারণে অনেকের পরোক্ষ মৃত্যু হবে।
এতে বলা হয়,গাজার বেশিরভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার তহবিল কমে গেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে,সাম্প্রতিক সংঘাতে এ ধরনের পরোক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যক্ষ মৃত্যুর চেয়ে তিন থেকে ১৫ গুণ বেশি। ‘রক্ষণশীল অনুমান’ অনুসারে প্রতি একজনের প্রত্যক্ষ মৃত্যুর বিপরীতে চারজনের পরোক্ষ মৃত্যুর হিসাবে বলা যায়, গাজা যুদ্ধের জন্য মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার বা তারও বেশি হতে পারে। এই সংখ্যা গাজার যুদ্ধ-পূর্ব ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ।
তারা জানিয়েছে, ‘ঐতিহাসিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এবং যুদ্ধের পুরো ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করার জন্য সত্যিকারের মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আইনি বাধ্যবাধকতারও একটা অংশ।’
তথ্যসূত্র:
1.Gaza toll could exceed 186,000, Lancet study says
– https://tinyurl.com/2m8uz2ar
2.Gaza death toll could be over 186,000: Report
– https://tinyurl.com/muvsehwz