ইসমাইল হানিয়াদের শাহাদাতে জিহাদ থেমে যাবে না: একিউএস

0
590

আল-কায়েদা ইন দ্য সাবকন্টিনেন্ট (একিউএস) তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতে একটি শোক বার্তা প্রকাশ করেছে। বার্তায় ইসরায়েলি হামলায় একিউ-এর উপপ্রধান আবু মুহাম্মদ আল-মাসরি রহমাতুল্লাহি আলাইহির শাহাদাতের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। (যিনি ২০২০ সালের আগস্টে তেহরানে শাহাদাত বরণ করেন।) সর্বশেষ আমেরিকা এবং ইসরায়েলকে বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার কথা বলা হয়।

আল-কায়েদা উপমহাদেশ সংশ্লিষ্ট আস-সাহাব মিডিয়া কর্তৃক গত ৩১ জুলাই দুই পৃষ্ঠার উক্ত শোক বার্তাটি জারি করা হয়। দলটি অত্যন্ত দুঃখ ও শোকের সাথে ইরানের রাজধানীতে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়ে ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের খবরটি নিশ্চিত করে।

এই মহান নেতার শাহাদাতে বিভিন্ন দোয়া বাক্য শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ, মুজাহিদীন ও নেতৃত্বের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়: ❝কাফের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুজাহিদ নেতাদের শাহাদাত নতুন কিছু নয়। এই মহান নেতাদের শাহাদাতগুলো জিহাদি কাফেলার জ্বালানি হিসেবে কাজ করে এবং জিহাদি কাফেলাকে ভিতর থেকে আরও শক্তিশালী করে। ফলে চলমান জিহাদের ময়দানে শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম থেকে শুরু করে শাইখ ইয়াসির, শাইখ ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা আখতার মুহাম্মদ মনসুর ও শাইখ আবু মুহাম্মদ আল-মিসরী… প্রমুখ নেতৃবৃন্দ, আর এখন শাইখ ইসমাইল হানিয়া (রহিমাহুমুল্লাহ্) এর শাহাদাত জিহাদি কাফেলাকে এক সেকেন্ডের জন্যও বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি এবং থেমেও যায় নি। বরং প্রতিটি শাহাদাতের ঘটনা এই কাফেলাকে শক্তিশালী করেছে এবং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। কেননা শহিদদের রক্ত জিহাদি কাফেলার ইন্ধন হিসেবে কাজ করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দখলকৃত ভূমির অবৈধ সীমানার বাইরে ইসমাইল হানিয়ার উপর এই হামলা এটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গাজা বা ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধ নিছক স্থানীয় বা ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক সীমান্তে সীমাবদ্ধ কোনো যুদ্ধ নয়। বরং এটি বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও কুফরের মধ্যকার যুদ্ধ।

এসময় বিবৃতিতে ইসরায়েল এবং তার সবচেয়ে বড় সমর্থক আমেরিকাকে একই মুদ্রার দুটি মুখ বলেও মন্তব্য করা হয়। ঘোষণা করা হয়, ইসরায়েল ও আমেরিকা যেভাবে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ চালাচ্ছে, সেভাবে সমগ্র বিশ্বজুড়ে আমেরিকা ও ইসরায়েলকেও টার্গেট করা আমাদের জন্য আবশ্যক।

এরপর নেতানিয়াহু এবং পশ্চিমা নেতাদের লক্ষ্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতে শত্রুদের আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা আমাদের শহিদদের অবস্থান হচ্ছে জান্নাত, আর তোমাদের অবস্থান হচ্ছে জাহান্নাম। তাছাড়া আমাদের কাছ থেকে এখনো কঠিন প্রতিশোধের মুখোমুখিও হও নি। আর মুজাহিদরা কখনোই তাদের শহিদদের প্রতিশোধ নিতে ভোলেন না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আরও নিকটবর্তী হয়। অচীরেই অভিশপ্ত ইহুদি এবং তাদের বিশ্ব দাজ্জালি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হবে। পুনরুদ্ধার করা হবে মসজিদুল আকসা ও মুসলিম উম্মাহর বিজয়। আর নবুওয়াতের আদলে খিলাফাহ ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা এখন খুবই সন্নিকটে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ ছেড়ে পালানোর সময় বিমান বন্দরে আটক হাছান মাহমুদ ও পলক; পালিয়েছে অনেকেই
পরবর্তী নিবন্ধহোটেল, রেস্টুরেন্ট ও জ্বালানি পাম্প স্টেশনগুলোর কর হ্রাস করল ইমারতে ইসলামিয়ার প্রশাসন