
মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) একটি দেশের অর্থনীতির আকারকে নির্দেশ করে। সাধারণত এক বছর সময়সীমায় কোন দেশের জিডিপি হিসাব করা হয়। অর্থাৎ এক বছরে কোন দেশের উৎপাদিত পণ্য ও সেবার সর্বমোট বাজারমূল্য হল জিডিপি।
বিগত বছরে (হিজরি সৌরসাল ১৪০২) আফগানিস্তানের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত রপ্তানি বাণিজ্য, বেসরকারি খাতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ একাধিক কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকাররের অর্থ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিগত বছরে আফগান জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান তুলে ধরেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুর রহমান হাবিব হাফিযাহুল্লাহ। জিডিপি’তে কৃষি, শিল্প ও খনিজ সম্পদ খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ৩৪.৩, ১৩.৫ ও ২.৪ শতাংশ। এই খাতসমূহে যথাক্রমে ২.১, ২.৬ ও ২.৪ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে।
এছাড়া জিডিপি’তে ২.৮ শতাংশ যুক্ত করেছে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সম্পদ খাত, এতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫শতাংশ। তবে বিগত বছরের জিডিপি’তে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে পরিষেবা খাত, তা হল ৪৬.৮ শতাংশ।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ সদস্য খানজান আলোকোজাই বলেছেন, ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতায় এসে দেশীয় পণ্য উৎপাদনে অধিক মনোনিবেশ করেছে। এই উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ী ও কৃষকদের জন্য কর হ্রাস করেছে তালেবান সরকার। ফলে দেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এই সরকার। এছাড়া তালেবান শাসনামলে স্থানীয় শিল্পে বিনিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি মুদ্রার স্থিতিশীলতা, চোরাচালান রোধ, দ্রব্যমূল্য হ্রাস, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ইত্যাদি কার্যক্রমের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে জিডিপি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে।
তথ্যসূত্র:
1. Afghanistan’s GDP Grows by 2.7% in Past Year
– https://tinyurl.com/35cb22v3