সম্প্রতি চীনা পুলিশ এক হুই মুসলিম নারীর বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তাকে অবৈধ ধর্মীয় কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে। এই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি ইসলামি ধর্মীয় আচরণ বা কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের নিয়ম ও বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে কাজ করছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ যখন তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার বাড়িতে উপস্থিত হয়, তখন ওই নারী পুলিশকে প্রশ্ন করেন, তাদের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো প্রমাণ রয়েছে কি না। এ সময় পুলিশের প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মতো। পুলিশ ওই নারীর হিজাব এবং অন্যান্য ইসলামী উপকরণ, যেমন নামাজ আদায়ের বিছানা বা মাদুর দেখিয়ে তাকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করে।
এই ধরনের ঘটনা সাধারণত চীন অধিকৃত পূর্ব তুর্কিস্তান বা শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে ঘটে চলেছে। এখন চীনের মূল ভূখণ্ডে বসবাসরত হুই মুসলিমদেরও লক্ষ্য বস্তু করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, পূর্ব তুর্কিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে চীন সরকার উইঘুর মুসলিম জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে সম্ভাব্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় উপকরণ। ঘরে কুরআন রাখা, মসজিদে যাওয়া বা ধর্মীয় পোশাক পরিধান করা ইত্যাদির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে চীন সরকার। যারাই এ নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে ধর্ম পালন করতে চাচ্ছে তাদেরকেই বন্দী শিবিরে আটকে রাখছে চীন সরকার।
তথ্যসূত্র:
1. Chinese Police Raid Muslim Woman’s Home
– https://tinyurl.com/yv3yzxra