আফগানিস্তানে এক ব্যক্তির ওপর শরিয়াহ আইন অনুযায়ী ‘হদ্দে কযফ’-এর আওতায় ৮০টি বেত্রাঘাতের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। হদ্দে কযফ ইসলামি শরিয়াহ আইন অনুযায়ী একটি নির্ধারিত শাস্তি, যা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যভিচার (জিনা) বা অন্য কোনো গুরুতর অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট গত ২৭ নভেম্বর এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পারওয়ান প্রদেশের একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ করায় অপবাদের দোষে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এ জন্য পারওয়ান প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে শরিয়াহর বিধান অনুযায়ী হদ্দে কযফ শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি থেকে জানা যায়, মামলার অপরাধী ছিলেন ঈসা খান নামে এক ব্যক্তি। তিনি আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ তোলেন। তবে ইমারতে ইসলামিয়ার তিনটি আদালত (প্রাথমিক, আপিল ও সর্বোচ্চ আদালত) মামলাটি তদন্ত করে দেখতে পায় যে অভিযোগকারী তার অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ফলে ইমারতে ইসলামিয়ার তিনটি আদালত সর্বসম্মতভাবে ‘হদ্দে কযফ’ শাস্তির রায় প্রদান করে, এবং মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য শরিয়ত অনুযায়ী তাকে ৮০ বেত্রাঘাতের শাস্তির রায় দেওয়া হয়। এই রায় ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ নেতা আমিরুল মুমিনিনের (হাফিযাহুল্লাহ) কাছে পাঠানো হয়, যিনি প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে রায়টি নিশ্চিত করেন এবং এ রায় কার্যকর করার আদেশ দেন।
রায় কার্যকর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অপরাধ বিভাগ প্রধান মুফতি আতিকুল্লাহ (দাওরেশ) হাফিযাহুল্লাহ ও তাঁর এর নেতৃত্বে গঠিত একটি দল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পারওয়ান প্রদেশের আপিল আদালতের প্রধান মাওলানা মীর আগা হাফিযাহুল্লাহসহ স্থানীয় আলেম-উলামা ও সাধারণ জনগণ।
তথ্যসূত্র:
1. In Parwan Province, the Divine Order of “Hadd Qadhf” Was Implemented on a Criminal
– https://tinyurl.com/yt46fzf5