সিরিয়ায় রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত আসাদ সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে “রদ্দুল উদওয়ান” অপারেশন চতুর্থদিন পার করেছে। মুজাহিদিনরা প্রতি মুহুর্তে শত্রু বাহিনীকে হটিয়ে বিভিন্ন শহর ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রমতে, মুজাহিদিনরা ৩০ নভেম্বর সকাল থেকেই ইদলিবের সারাকিব অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বিজয় শেষে শহরের দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে মুজাহিদিনরা ইদলিব সিটির অন্তত ৩১টি এলাকা শত্রু মুক্ত করেন, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইদলিবের দক্ষিণে মারাত আল-নুমান, আল দুহুর, পূর্বে ওয়াদি আল-দেইফ এবং ইদলিব সিটির শত্রু নিয়ন্ত্রিত সামরিক বিমানঘাঁটি।
দুপুরের পর মুজাহিদিনরা তাদের অপারেশনের তীব্রতা ইদলিবের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বৃদ্ধি করেন। এসময় মুজাহিদিনরা ইদলিবের পূর্বাঞ্চলের জারজানায, সানজার এবং আবু-দালির মতো বিখ্যাত এলাকাগুলো সহ অন্তত ২৮টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন, ফলে ইদলিবের পূর্বাঞ্চল পুরোপুরিভাবে মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। একই সময় মুজাহিদদের অন্য একটি দল ইদলিবের দক্ষিণে অগ্রসর হতে থাকেন। তারা দক্ষিণের হাস, কাফরানবেল, কাফর নবুধা এবং আল-হাবিতের মতো ঐতিহাসিক শহরগুলো সহ অন্তত দুই ডজন এলাকা শত্রু মুক্ত করতে সক্ষম হন।
সবশেষে মুজাহিদিনরা শত্রু নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের বিখ্যাত শহর খান ইউনুসের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। আর বিকাল নাগাদ মুজাহিদিনরা এই শহরটিও শত্রু মুক্ত করার মাধ্যমে ইদলিব সিটিকে সম্পূর্ণরূপে দখলদারত্ব মুক্ত করেন। এরপর মুজাহিদিনরা ইদলিবের পূর্বাঞ্চলীয় আল দুহুর এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসের দিক থেকে হামা সিটির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুজাহিদিনরা হামা সিটির উত্তরের হালফায়া, কাফর নাবুদাহ, কালাত আল-মাদিক, কাফর জিরা, মোরেক, সুরান, তাইয়িবাত, মুহরাদাহ এবং আল-লাতামিনাহ শহরগুলো সহ আরও বেশ কিছু এলাকা শত্রু মুক্ত করেছেন।
বর্তমানে মুজাহিদিনরা উত্তর হামার কৌশলগত শহর মোরেকা অতিক্রম করে শহরের কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। ফলে আসাদ বাহিনী হামা শহরের কেন্দ্র থেকে হোমসের দিকে তাদের বিশাল কনভয় নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, যা স্পষ্টতই এটি প্রমাণ করে যে আসাদ সরকারের প্রতিরক্ষা লাইন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে।
Alhamdulillah, Alhamdulillah, we want full sirya for muslim ummah. oh Allah help for all mujahideen & Victory them.