সারা দেশে প্রতিনিয়তই নারী ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপসহ নানাভাবে নারী ও শিশুদের নির্যাতন করা হয়। ভয়, হয়রানি, সামাজিক অবস্থান ও মান সম্মানের ভয়ে অধিকাংশ নারী ও শিশু আইনের আশ্রয় ও মামলা না করলেও দেশের বিভিন্ন থানায় মামলার পরিসংখ্যান আকাশচুম্বী। পুলিশ সদরদপ্তরের মামলার পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে গড়ে প্রতিদিন সারাদেশে ৫৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়। প্রতি মাসে গড়ে মামলা হয় ১৭৪৯টি। আওয়ামী লীগ শাসনামলের শেষ সাড়ে পাঁচ বছরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৯০০।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশের থানাগুলোতে মামলা হয়েছে ২১ হাজার ৭৬৪টি। ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে ২২ হাজার ৫১৭টি। ২০২১ সালে মামলা হয়েছে ২২ হাজার ১৩৬টি। ২০২২ সালে সারাদেশে মামলা হয়েছে ২১ হাজার ৭৬৬টি। ২০২৩ সালে সারাদেশে মামলা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৪১টি। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১১ হাজার ৭৭৬টি।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় যেসব মামলা হচ্ছে সেসব মামলায় অনেক সময় একের অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। কিন্তু মামলায় আসামি গ্রেপ্তার খুবই কম হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে সারাদেশের থানা ও আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুক, ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা, দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ ও অপহরণ ধারায় মোট ১২ হাজার ৭৬৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৬টি। বাকিগুলো শিশু নির্যাতনের অভিযোগে। নারী নির্যাতনের মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৩৯ জনকে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র সাত হাজার ৮৩৫ জন। পরিসংখ্যান মতে, ৯ মাসে প্রায় ৬৮ শতাংশ আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
তথ্যসূত্র:
১. আওয়ামী লীগের শেষ সাড়ে ৫ বছরে মামলা ১ লাখ ১৮ হাজার ৯০০
– https://tinyurl.com/5n8xcrsz