বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার আরব উপদ্বীপ শাখা আনসারুশ শরিয়াহ্ কর্তৃক দুই পৃষ্ঠার একটি বিবৃতিতে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের শরণার্থী ও প্রত্যাবর্তন মন্ত্রীর শাহাদাতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শহিদ মন্ত্রী খলিলুর রহমান হাক্কানি ছিলেন মহান মুজাহিদ নেতা শাইখ জালালুদ্দিন হক্কানি রহিমাহুল্লাহ্’র ভাই, যাকে সম্প্রতি রাজধানী কাবুলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে শহিদ করেছে।
প্রতিরোধ বাহিনী আনসারুশ শরিয়াহ্ তার বিবৃতির শুরুতে হামদ ও সালাতের পর, সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ, মুজাহিদিন বিশেষ করে আফগান জিহাদে পাহাড়সম দৃঢ়তার অধিকারী মহান মুজাহিদ নেতা শাইখ খলিলুর রহমান রহিমাহুল্লাহ্’র শাহাদাতে সমবেদনা জানায়।
এরপর শাইখের জিহাদী জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী আল্লাহ’র রাহে জিহাদের ভালবাসার জন্য পরিচিত একটি প্রাচীনতম পরিবার হচ্ছে হাক্কানী পরিবার। এই পরিবারেরই মহান নেতা শাইখ জালালুদ্দিন হাক্কানীর ভাই ছিলেন শহিদ খলিলুর রহমান, যিনি আফগান জিহাদে তাঁর ভাই জালালুদ্দিন হাক্কানীর বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন। এই মহান নেতাদের কয়েক দশকের জিহাদ ও সংগ্রামের মাধ্যমে আল্লাহ তাআ’লা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তারপর আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ক্রুসেডার দখলদার বাহিনীকে পরাভূত করেন। তাঁরা অবিচলতার মাধ্যমে শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানে মুজাহিদদেরকে অবিচলতার সবক শিখিয়েছেন। সেই সাথে শত্রুদেরকেও মুসলিমদের গর্ব এবং সাহস সম্পর্কে পাঠ শিখিয়েছেন। ফলে আমেরিকা বাধ্য হয়েছিল খলিলুর রহমান হাক্কানীকে তাদের কথিত কালো তালিকায় রাখতে এবং তার সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করতে।
এরপর আইএসকে পশ্চিমা শক্তির গোপন হাত হিসাবে বর্ণনা করে বলা হয়, মহান রব্বুল আলামীন দখলদারিত্বের পুরো সময় ধরেই হাক্কানীকে হানাদার কাফেরদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। শুধু রক্ষাই করেন নি বরং তাদের হাতে কুফ্ফার বাহিনীকে হত্যা এবং শোচনীয় পরাজয় নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু গোমরাহী ও অন্তরে প্রলোভন চেপে বসা খারিজিরা (আইএস) আমেরিকানদের হত্যা করার পরিবর্তে ঐসমস্ত মহান মুজাহিদ নেতা ও আফগান মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করতে শুরু করেছে, যারা ইতিপূর্বে ইসলামের ঘোরতর শত্রুদের পরাজিত করেছেন। আর এই লক্ষ্যে খারেজিরা মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য স্থানে বোমা হামলা শুরু করে। মূলত এমন কর্মের মাধ্যমে আইএস হানাদারদের ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
বিবৃতিতে কয়েকটি হাদিসের উদ্ধৃতি এনে খারেজী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি গুরুতর লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলা হয়, এই ধরনের লোকদের (আইএস) সাথে আইনগত দায়িত্ব হল তাদের হত্যা করা এবং নির্মূল করা। কারণ তারা এই সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য একটি বড় ফেতনা এবং একটি মহামারী।
বিবৃতির একেবারেই শেষাংশে উল্লেখ করা হয় যে, আল্লাহ তাআ’লা যেনো শহীদদের কাতারে মুজাহিদ নেতা শাইখ খলিলুর রহমান হাক্কানিকে কবুল করেন এবং তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন। হাক্কানি পরিবার এবং বাকি আফগানদের হৃদয়কে সবর, জিহাদ ও শাহাদাতের ভালোবাসা দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেন, তারা যা হারিয়েছে তার চেয়ে উত্তম কিছু তাদেরকে দান করেন।
আল্লাহ্ শাইখ কে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।আমিন।
رحم الله عبدا صوبني فيما أخطأت وحرضني فيما أصبت
আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।