আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের বুরকিনা ফাসোতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ৫টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা।
আয-যাল্লাকার সূত্রে জানা যায়, জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে বুরকিনান জান্তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানগুলো জান্তা বাহিনীর ৩টি সামরিক ঘাঁটি ও ২টি টহল দলকে টার্গেট করে চালানো হয়েছে।
সূত্রমতে, মুজাহিদিনরা তাদের প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন গত ১৬ ডিসেম্বর সৌম রাজ্যের জিবো শহরে। অভিযানটি বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি টহল দলকে টার্গেট করে তিনটি বিস্ফোরক ডিভাইস দ্বারা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু জান্তা সদস্য হতাহত হয়।
আর গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুজাহিদিনরা তাদের দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন দেদুগু রাজ্যের কাউরা এলাকায়। মুজাহিদিনরা সংক্ষিপ্ত লড়াই শেষে উক্ত এলাকায় অবস্থিত বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি সদর দফতরের নিয়ন্ত্রণ নেন।
একইভাবে গত ১৮ ডিসেম্বর, মুজাহিদিনরা কিয়া রাজ্যের বাসুম এলাকায় বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি সদর দফতর আক্রমণ করেন। এসময় বুরকিনান জান্তার সাথে মুজাহিদিনরা তীব্র লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। এতে অনেক বুরকিনান সৈন্য হতাহত হয় এবং বাকিরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়। সেনাদের এই পলায়নের পর মুজাহিদিনরা সামরিক ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নেন। সেই সাথে মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ক্লাশিনকোভ ও অন্যান্য অস্ত্রের পাশাপাশি প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন। একই সাথে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর ১৯ মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন।
এদিকে গত ২০ ডিসেম্বর, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা ফাদানগোরমা রাজ্যের এনগারিতে একটি সেনা ব্যারাকে অতর্কিত আক্রমণ চালান। এতে অনেক সৈন্য হতাহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। সেনাদের পলায়নের পর মুজাহিদিনরা সামরিক ব্যারাকের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন।
এমনিভাবে গত ২১ ডিসেম্বর শনিবার, মুজাহিদিনরা দেদুগু রাজ্যের ব্রাসো এবং টনসিরীর এলাকার সংযোগকারী সড়কে জান্তা বাহিনীর একটি দলের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালান। ফলে ঘটনাস্থলেই জান্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে ২টি ক্লাশিনকোভ সহ প্রচুর সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।