হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বড় কেয়ারা সীমান্তে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধের লাশ ভারতীয় পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে ভারতের খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বৃদ্ধ জহুর আলী (৬০) চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের মনসুব উল্লাহর ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ ও সীমান্তের ওপাড়ের ভারতীয় লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, জহুর আলী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করতেন। গত শনিবার (৫ জানুয়ারি) পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসার সময় গ্রামের হাট-বাজারে বিক্রির উদ্দেশে জহুর আলী অল্প মূল্যে কিছু লুঙ্গি কিনে নিয়ে আসেন। সেগুলো নিয়ে তিনি সোমবার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে চুনারুঘাটের বড় কেয়ারা সীমান্ত এলাকার লোকজন ভারতীয় সীমান্তের গৌরনগর এলাকায় এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় সীমান্ত এলাকায় প্রচারিত হয় যে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের। তখন স্থানীয় বাংলাদেশীরা ওই লাশ শনাক্তের চেষ্টা করেন।
এদিকে ভারতীয় লোকজন লাশটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে বাংলাদেশের অনেকেই তা দেখে চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম ডুলনা গ্রামের জহুর আলীর বলে শনাক্ত করে। তবে তিনি ভারতে গেলেন কী করে, তা জানা যায়নি।
জহুর আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন এবং স্থানীয় গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবদুল মালেক গণমাধ্যমকে জানান, তারা সীমান্ত থেকে খবর পেয়েছেন যে বিএসএফ ও স্থানীয় এলাকার কিছু মানুষ জহুর আলীকে সীমান্ত এলাকা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। পরে তারা লাশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। ভারতীয় লোকজন তাদের এ ঘটনা জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. সীমান্তে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, লাশ নিয়ে গেল ভারতীয় পুলিশ
-https://tinyurl.com/epw8ufzs