ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসনে শহীদ হওয়া ফিলিস্তিনিদের স্মরণে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বাসিন্দারা একটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করেছেন। মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে ‘গাজা’।
গত ২৫ জানুয়ারি আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদটি কাবুলের কোয়া-ই-মারকাজ এলাকায় স্থাপিত হয়েছে। এটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্লাজা এবং বিখ্যাত কার্পেট মার্কেটের কাছাকাছি অবস্থিত। দুই তলা বিশিষ্ট এই মসজিদে প্রায় ৫০০ জন নামাজি প্রার্থনা করতে পারবেন। কাবুল পৌরসভার জমিতে স্থানীয় জনসাধারণের অনুদানে এটি নির্মাণ করা হয়।
তহবিল সংগ্রহের নেতৃত্বদানকারী স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজি হাবিবুদ্দিন রেজায়ী বলেন, ‘গাজার পুরুষ, নারী, শিশু, যুবক এবং প্রবীণদের ভূমি রক্ষায় সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে ‘গাজা মসজিদ’।’
তিনি জানান, মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার আগে ফিলিস্তিন, আকসা এবং গাজাসহ বিভিন্ন নামের প্রস্তাব ছিল। তবে, নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ মানুষ গাজা নামটি সংহতির প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
নবনির্মিত গাজা মসজিদের ইমাম আব্দুর রাকিব হাকিমি হাফিযাহুল্লাহ বলেন, ‘আফগানরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যতটা সম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করছে, দানে, প্রার্থনায় এবং সংহতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে। ফিলিস্তিন ও গাজার জনগণ গত দেড় বছরে যে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে, তাতে প্রতিটি মুসলমান ও মানুষের তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা উচিত।’
আসাদুল্লাহ দায়ি নামে এক মুসল্লি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। নিরীহ নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে এবং বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী নির্যাতনের মতো এত নিপীড়ন কখনও হয়নি।’
উল্লেখ্য যে, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার গাজা এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের অবিচল সমর্থন ব্যক্ত করে আসছেন। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের লড়াইকে ন্যায্য সংগ্রাম হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং গাজার জনগণের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়েছে। এছাড়াও আফগান সরকার বারবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
তথ্যসূত্র:
1. Kabul residents name their newest mosque after Gaza
– https://tinyurl.com/2kxp6nwb