
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সপ্তাহব্যাপী দখলদার ইসরায়েলের আক্রমণে ওই অঞ্চলের অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া জনপদের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোও ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
মূলত চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে উত্তর পশ্চিম তীরের শহর জেনিনের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরু করে। এতে অংশ নেয় শত শত দখলদার সৈন্য, তারা বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর ভেঙে এবং রাস্তা খুঁড়ে শিবিরের প্রায় সব বাসিন্দাকে তাড়িয়ে দেয়।
জেনিন ক্যাম্প সার্ভিস কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আল-সাব্বাগ বলেছেন, “আমরা জানি না ক্যাম্পে কী চলছে, তবে সেখানে ক্রমাগত ধ্বংসযজ্ঞ চলছে এবং রাস্তা খোঁড়া হচ্ছে।” ইসরায়েল বলেছে, জেনিন থেকে অভিযানটি অন্যান্য শিবিরগুলোতে প্রসারিত হয়েছে। বিশেষ করে তুলকারম শরণার্থী শিবির এবং নিকটবর্তী নুর শামস শিবিরে অভিযান চালানো হয়েছে।
এর আগে ১৯৭৮ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের সময় যে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুরা তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছিল,
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের উপর বারবার অভিযান চালিয়েছে। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর বর্তমান সন্ত্রাসী অভিযানটি অস্বাভাবিকভাবে বড় আকারে চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ১৭ হাজার মানুষ জেনিন শরণার্থী শিবির ছেড়ে গেছে। এছাড়া নুর শামসের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষ (ছয় হাজার) এবং তুলকারম ক্যাম্প থেকে আরও ১০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।।
নুর শামস ক্যাম্প সার্ভিস কমিটির প্রধান নিহাদ আল-শাবিশ বলেছেন, “যারা বাকি আছে তারা আটকা পড়েছে, সিভিল ডিফেন্স, রেড ক্রিসেন্ট এবং ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল তাদের জন্য কিছু খাবার এনেছে, কিন্তু দখলদার সেনাবাহিনী এখনও বুলডোজার দিয়ে ক্যাম্প ধ্বংস করছে।”
ইসরায়েলি এসব অভিযানে কয়েক ডজন বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং রাস্তার বড় অংশ খুঁড়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Tens of thousands of Palestinians flee West Bank refugee camps
– https://tinyurl.com/ytmssckr