
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছে বলে হাইকোর্টকে অবহিত করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। গত বছরের ৬ আগস্ট জেমি কারাগার থেকে পালিয়ে যায় বলে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানা যায়। এদিন আবরার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) ও আপিলের ওপর শুনানি করে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে অনেক আসামি পালিয়ে যায়। আসামি জেমি ছিল গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সে ৬ আগস্ট সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি এ মামলার প্রথমদিনের (গত বছরের ২৮ নভেম্বর) শুনানিতে আমরা হাইকোর্টকে অবহিত করেছি।
এদিন অধস্তন আদালতের দেওয়া ফাঁসির আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয়েছে। মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছে হাইকোর্ট।বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আবরার হত্যা মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। হাইকোর্ট যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
তথ্যসূত্র:
১.কারাগার থেকে পালিয়েছেন আবরার হত্যায় ফাঁসির আসামি
-https://tinyurl.com/2794dfnr