দখলদার ইসরায়েলের অবরোধ আর গোলাবর্ষণে বিপর্যস্ত গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

গাজায় দখলদার ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের স্থল অভিযানের তীব্রতা ও নতুন করে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা চরম সংকটে পৌঁছেছে। নৃশংস ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিগত এক সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

চিকিৎসা সহায়তা সংস্থা (MSF) জানিয়েছে, গাজা জুড়ে দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসন ও বোমাবর্ষণের কারণে গত এক সপ্তাহে বহু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সন্ত্রাসী ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং মানবিক অবরোধ সৃষ্টি করছে।

উত্তরের বেইত লাহিয়া ও জাবালিয়ার ইন্দোনেশিয়ান, কামাল আদওয়ান এবং আল-আওয়দা হাসপাতালগুলো একটি নতুন ঘোষিত সরিয়ে নেওয়ার এলাকার মধ্যে পড়েছে। কামাল আদওয়ান হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে আশপাশের সংঘর্ষের কারণে এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল ঘিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের কারণে তা এখন কার্যত অগম্য।

আল-আওয়দা এখনও কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও, হাসপাতালের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সালাহ জানান, এটি এখন পুরোপুরি অবরুদ্ধ। তিনি বলেন, “কেউ বাইরে যেতে পারছে না, বাইরের কেউ আসতেও পারছে না। আমরা চারপাশে ড্রোন ও ট্যাংক থেকে গুলি শুনতে পাচ্ছি।”

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ইউরোপিয়ান হাসপাতাল ১৩ মে থেকে কার্যত অকার্যকর। সন্ত্রাসী ইসরায়েল ঐ দিন ব্যাপক বোমা বর্ষণ করে। এতে অন্তত ২৮ জন শহীদ হন বলে জানায় গাজার সিভিল ডিফেন্স।

নাসের হাসপাতালের ব্রিটিশ সার্জন ড. ভিক্টোরিয়া রোজ জানান, এই হাসপাতালেই এখন গাজার একমাত্র নিউরোসার্জারি, কার্ডিয়াক ও ক্যান্সার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি নাসের হাসপাতাল সরিয়ে নিতে হয়, তাহলে শত শত রোগীর মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত কারণ তাদের স্থানান্তরের কোনও উপায় নেই।”

হাসপাতালটির চিকিৎসা সামগ্রীর গুদাম গত ১৯ মে(সোমবার) বর্বর ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয় এবং ডব্লিউএইচও’র গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র:
1. Gaza health system ‘stretched beyond breaking point’ by Israeli offensive and evacuations, WHO warns
– https://tinyurl.com/2zscj8r4