
জুলাই আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকায় ছিল ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা। আর সেই উত্তাল সময়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক ও ব্লগে প্রচার করেছে তৌহিদ আফ্রিদি। এসবের মূল লক্ষ্য ছিল হাসিনার হত্যাকাণ্ডের বৈধ্যতা দেওয়া।
আফ্রিদি শুধু নিজে নয়, অন্য অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে হাসিনার পক্ষে কাজ করতে চাপও দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আফ্রিদির কথায় ভিডিও বানাতে রাজি না হয়ে অনেকে নির্যাতনেরও শিকার হয়েছে।
শুধু জুলাই আন্দোলনই নয়, অতীতেও বিভিন্ন সময় ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমর্থন জুগিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েট করেছে তৌহিদ আফ্রিদি। অভিযোগ রয়েছে, সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে কামিয়েছেন বিপুল অঙ্কের টাকা। এর বেশির ভাগই বিদেশে পাচার করেছে। এছাড়া আফ্রিদির সঙ্গে যাদের বিরোধ ছিল তাদের ডিবি কার্যালয়ে ডেকে এনে নির্যাতন করাতো।
জুলাই আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অভিযোগও উঠেছে। অনেকেই তৌহিদ আফ্রিদির নির্যাতনের বর্ণনাও দিয়েছে।
অবশেষে রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) একটি দল বরিশাল থেকে গ্রেফতার করে তৌহিদ আফ্রিদিকে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় গ্রেফতার তৌহিদ আফ্রিদিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট একই মামলায় রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার হয় আফ্রিদির বাবা বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী।
তথ্যসূত্র:
১. হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দিতে কনটেন্ট বানাতেন তৌহিদ আফ্রিদি
-https://tinyurl.com/2yydjeyw


