
গত চার দিনে চারটি ট্রলারসহ ৫১ জন জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি। কক্সবাজারের টেকনাফ নাফনদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট থেকে মাছ ধরে ফেরার সময় দফায়-দফায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এসব জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। তবে কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও বেশিরভাগ জেলেদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফেরার পথে সবশেষ গতকাল দুপুরে ১৩ জন জেলেকে ট্রলারসহ অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এর আগে, গত ৫ আগস্ট ৫ জন, ১৭ আগস্ট ১২ জন, ২৪ আগস্ট ১৪ জন ও ২৫ আগস্ট ৭ জন ও সবশেষ গতকাল ১৩ জেলেসহ মোট ৫১ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তবে তাদের কাউকে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সোমবার (২৫ আগস্ট) আরাকান আর্মির ধাওয়ায় প্রায় ৪০ মণ মাছ ও সাতজন মাঝিমাল্লাসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়। এসময় জেলেদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আব্দুর রহিম নামে এক জেলে দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মাছ শিকার করে ভরণ-পোষণ করি। নিয়মিত সাগরে মাছ ধরতে যাই। সাগরের অবস্থা ভাল না হওয়ায় জেলেরা ঘাটে ফিরে আসছিল। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৫৭ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি ট্রলার ও নৌকা ফেরত আনা হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. টানা চার দিনে ৪ ট্রলারসহ ৫১ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
– https://tinyurl.com/5xptk2w5



তারপরেও এরা স্বাধীনতাকামী আর ARSA জঙ্গি, হায়রে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড সিস্টেম।