গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনে শহীদ আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি

0
25

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন স্থানে দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলায় একদিনে আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল গাজা নগরীতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। তাদের মধ্যে ১১ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। ৩১ আগস্ট, রবিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের মুখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজা নগরী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। হাতে গোনা সামান্য মালপত্র ট্রাক, ভ্যান ও গাধার গাড়িতে তুলে তারা এলাকা ছাড়ছেন।

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিম দিকে দেইর আল-বালাহর কাছে বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী তাঁবু ফেলতে শুরু করেছে। এদের অধিকাংশই একাধিকবার ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।

৫০ বছর বয়সী মোহাম্মদ মারুফ বলেন, “আমরা রাস্তায় পড়ে আছি। কুকুরের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছি আমরা”। তিনি জানান, ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে তারা আগেই উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন।

আগস্টের শুরু থেকে ইসরায়েলি সেনারা টানা হামলা চালাচ্ছে গাজা নগরীতে। শহর দখল ও প্রায় ১০ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার লক্ষ্যেই এই অভিযান— এমন আশঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। গত ২৯ আগস্ট, শুক্রবার ইসরায়েল নগরী দখলের ‘প্রাথমিক ধাপ’ শুরু করেছে এবং এটিকে “যুদ্ধক্ষেত্র” ঘোষণা করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একদিনে গাজায় ৭৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। শুধু গাজা নগরীতেই নিহত ৪৭ জন। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন শহীদ হয়েছেন রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়।

অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আবাসিক ভবনে হামলায় সাতজন শহীদ হন। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাতে দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবকদের।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলেন, “গাজা নগরীজুড়ে হামলা আরও বাড়ছে। ঘরবাড়ি, কমিউনিটি সেন্টার সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনধারার ভিত্তি ভেঙে পড়ছে। এ সব ঘটছে যখন মানুষ দুর্ভিক্ষ, অনাহার আর পানিশূন্যতার মধ্যে রয়েছে। পুরো পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয়ে গড়াচ্ছে।”


তথ্যসূত্র:
1. ‘Mayhem, chaos’ in Gaza City as Israel intensifies attacks, killing 47
– https://tinyurl.com/2s3wrwyv

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসলামী শরিয়ার আলোকে কবিতা রচনা সংক্রান্ত আইন অনুমোদন করল ইমারতে ইসলামিয়া
পরবর্তী নিবন্ধভিডিও || শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে নবী-রাসূলগণের অনুসরণে আদর্শবান হয়ে উঠার প্রতি আমীরুল মু’মিনীনের আহ্বান