
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি উপেক্ষা করে নাচ-গান শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া জুলাই শহীদদের প্রতি স্পষ্ট অবমাননা। ইন্টারিম সরকারের এই নিয়োগ কোমলমতি শিশুদের মধ্যে ধর্মহীনতা তৈরি করবে এবং তারা ইসলামী সভ্যতা ও তমদ্দুন এবং ধর্মীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সৎ নাগরিক ও নেতৃত্ব গড়ার পরিবর্তে এটি নৈতিক অবক্ষয় ও চরিত্রহীন নেতৃত্ব তৈরি করবে। তাদের মননে ব্রাহ্মণ্যবাদের কুফরি ছায়া পড়বে।
ইত্তিহাদুল উলামা সাভার উপজেলার নির্বাহী কমিটির জরুরি পরামর্শ সভায় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা মিলনায়তনে উপস্থিত উলামায়ে কেরাম এসব কথা বলেন। ইত্তিহাদের মজলিসে শুরার সভাপতি ও জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীনের মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা আশিকুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন ইত্তিহাদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদীস হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী।
তারা আরও বলেন, যেমুহূর্তে জাতির নতুন প্রজন্মের মধ্যে নানাবিধ চরিত্রহীনতা দেখা দিয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নাচ-গান শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা জাতির জন্য আত্মঘাতী। এই সময়ে প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে আদর্শ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। অথচ তা না করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মূলত শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে অবক্ষয় ও অনৈতিক সমাজ গঠনে উৎসাহিত করছে।
জুলাই শহীদরা এজন্য জীবন দেননি। অবিলম্বে এই নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। মাওলানা শাহেদ জহিরী ও মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজীর সঞ্চালনায় পরামর্শ সভায় বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আনোয়ার হোসাইন কাসেমী, মাওলানা সালীমুল্লাহ, মুফতি আব্দুল বারী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, মুফতি নুরুল আমীন, মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রশিদ ও মুফতি মুহিউদ্দিন।
তথ্যসূত্র:
১. ‘গানের শিক্ষক নিয়োগ জুলাই শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি’
-https://tinyurl.com/5h2bskb8


