
দিনে দিনে নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। গাজার বাড়িঘর থেকে শুরু করে শরণার্থী শিবির সর্বত্রই চলছে নারকীয় তাণ্ডব। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সরকারি সংবাদমাধ্যম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় ১৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও দুই সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন, তারা হলেন ফটোগ্রাফার এবং ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার আইমান হানিয়া এবং সাংবাদিক ইমান আল-জামিলি।
এর আগে সকালে গাজা সিটির নাসর এলাকায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-কুফি শহীদ হন। এদিকে, গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্র ও অস্থায়ী তাবুগুলোকে টার্গেট করে এ হামলা পরিচালিত হয়। সেখানে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-কুফি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। একই ঘটনায় শহীদ হন ফটোগ্রাফার ও সম্প্রচার প্রকৌশলী আয়মান হানিয়ে এবং সাংবাদিক ইমান আল-জামিলি।
এদিকে, জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক আইরিন খান বলেছে, ‘ইসরায়েলকে কখনও ফিলিস্তিনে সাংবাদিক হত্যার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি। এই হত্যাকাণ্ড ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সে ফিলিস্তিন অঞ্চল সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছে। এসময় আইরিন খান জানায়, ইসরায়েলি সেনাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতি একটি ‘অনুকূল পরিবেশ’ সৃষ্টি করেছে, যেখানে তারা তাদের মনমতো সব কিছু করতে পারে। সত্য প্রকাশে একমাত্র যাদের সাহস আছে সেই সাংবাদিকদের হত্যা করার সাহস তারা কোথায় পাচ্ছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে সাংবাদিক হত্যায় একটি ভয়ানক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলমান গণহত্যায় ইতিমধ্যে দুই শতাধিকেরও বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সাংবাদিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে সুরক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও দখলদার বাহিনী নিয়মিতভাবে সেই আইনকে পদদলিত করছে। সন্ত্রাসী ইসরায়েল মূলত সত্যের কণ্ঠরোধ এবং তাদের গণহত্যা গোপন করার উদ্দেশ্যেই সাংবাদিকদের হত্যা করছে।
তথ্যসূত্র:
1. Israel kills 2 more Gaza journalists
– https://tinyurl.com/3bu6e2ep


