
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে আদালতে খুব দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হয়। এবং বেশিরভাগ মামলা কোন উকিল ছাড়াই শেষ হয়। সম্প্রতি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সফরে করেন বাংলাদেশের সাতজন আলেম। আট দিনের সফর শেষে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁরা দেশে ফিরেছেন। সফরের বিস্তারিত এবং আফগানিস্তানে ইসলামি শরিয়ার বাস্তব প্রয়োগ ও সৌন্দর্য নিয়ে এক গণমাধ্যমে আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক (হাফিজাহুল্লাহ) এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, আফগানিস্তানে বিচার ব্যবস্থায় তিনটি স্তর রয়েছে: নিম্ন আদালত, আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতকে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হয়। যদি কোনো কারণে সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, তবে নিম্ন আদালতকে উচ্চতর আদালতের অনুমতি নিতে হয়।
তিনি আরও জানান, সেখানে মামলা নিষ্পত্তি, মামলা পরিচালনা করার জন্য কোনো উকিল, ব্যারিস্টার বা মধ্যস্থতাকারী কোনো ব্যক্তিত্বের একটা প্রয়োজন হয় না। কেউ চাইলে উকিল নিয়োগ করতে পারে। প্র্যাকটিক্যাল হলো, অধিকাংশ মামলায় কোনো উকিলের মধ্যস্থতা ছাড়া বাদী ও বিবাদী দুজনেই মামলা পেশ করে। ৫০ শতাংশের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয় কোনো উকিল ছাড়া। এই জিনিসটা আমাদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।
তথ্যসূত্র:
1. আফগানিস্তানে তিনটি বিষয় নজর কেড়েছে
– https://tinyurl.com/2s3wb9c8


