
পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সফল পাল্টা হামলার পর আফগানজুড়ে বইছে বিজয়ের উল্লাস। দেশের বিভিন্ন প্রদেশে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সেনাদের প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে অভূতপূর্ব জনসমর্থনের ঢল। খোস্ত, পাকতিয়া, নানগারহার ও কাবুলসহ একাধিক শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আফগান সেনাদের সাহসিকতা ও দেশের মর্যাদা রক্ষায় তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
গত ১৩ অক্টোবর আফগান সরকারি গণমাধ্যম আরটিএ এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটির খোস্ত প্রদেশে বিপুল জনতা সৈন্যদের অভিনন্দন জানিয়ে ফুলেল মালা পরিয়ে দেন। অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। তাদের মতে, আফগান সেনারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা দেশের সম্মান রক্ষায় ঐতিহাসিক উদাহরণ হয়ে থাকবে।
পাকতিয়ার রাজধানী গার্দেজেও একই দৃশ্য দেখা যায়। হাজারো মানুষ সড়কে নেমে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আফগান বাহিনীর সফল অভিযানের উদযাপন করেন। তারা ঘোষণা দেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে আছি এবং যে কোনো পরিস্থিতিতেই তাদের সমর্থন জানাব।
নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদেও বিকেলে হাজার হাজার মানুষ বিজয় উদযাপন করতে সমবেত হয়। পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগান সেনাদের সাম্প্রতিক প্রতিশোধমূলক অভিযান আধুনিক ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
আফগান জনগণ বলছেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আগ্রাসনের জবাব দিতে আফগান সেনারা যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তা দেশের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীক। তাদের ভাষায়, ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃত্বে আফগানরা আর কখনও তাদের ভূখণ্ডে বাইরের শক্তির দখল মেনে নেবে না।
ইমারাতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র মৌলভী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ জানিয়েছেন, গত ১২ অক্টোবর রাতে আফগান সেনারা সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানি পোস্টে প্রতিশোধমূলক অভিযান চালায়, এতে ৫৮ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত ও প্রায় ৩০ জন আহত হয়। তবে, পাকিস্তান সরকার এই সংখ্যাকে অনেক কম দেখিয়ে ২৩ জন সেনা নিহত হওয়ার দাবি করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার সংঘর্ষে ২০০ আফগান সেনা নিহত ও ২১টি প্রতিকূল অবস্থানও সাময়িকভাবে দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে, তবে পাকিস্তানের দাবির সত্যতা স্বীকার করেনি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।
তথ্যসূত্র:
1. په ټول هېواد کې د پاکستان پر وړاندې د افغان ځواکونو مېړانه ستایل کېږي
– https://tinyurl.com/ypbja32m


